দুবাই থেকে আসা ইমিরেটস কার্গো বিমান হংকংয়ে সাগরে পড়ল, ২ নিহত
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবছে সড়ক
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। একের পর এক সড়ক ডুবে যাচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে এসব নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, পানি বাড়ার কারণে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ টন চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৪০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন