আপডেট :

        নিরাপদে পৃথিবীতে ‘পোলারিস ডন’ মিশনের মহাকাশচারীরা

        দেব-ইয়ান বোথামের রেকর্ডের সামনে সাকিব

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        আবারও ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা বিতাড়িত রাজনৈতিক পরিবারের

        শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে দিল্লির কাছে জানতে চায়নি ঢাকা

        মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফাটল’, যা জানাল কর্তৃপক্ষ

        নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনী

        ইলিশ না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি: ফারুকী

        দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা জানালো হামাস

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

        বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাইঃ জয়শঙ্কর

        বিএনপির গণসমাবেশ চলছে

        ট্রাম্পকে মারতে ১২ ঘণ্টা ওত পেতে ছিলেন বন্দুকধারী

        আমি একজন পেশাদার সাংবাদিকঃ কোনো প্লট নেইনি

        বিশ্বব্যাংক হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান

        হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন মোজাম্মেল বাবু

        নেতাকর্মীদের প্রতি দুটি নির্দেশনা আওয়ামী লীগের

সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদ

সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতন, নিপীড়ন এবং তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা, উপসনালয়ে হামলার প্রতিবাদে, গত শনিবার বিকেলে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের হ্যামিল্টন শহরে সমবেত হন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সফল ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মন্দির, গীর্জা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের খবরে দেশবাসীর ন্যায় প্রবাসীরাও আশাহত এবং গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং ভবিষ্যৎ প্রতিরোধের দাবীতে তাদের এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করা হয় হ্যামিল্টন সিটি হলের সামনে। এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন  হ্যামিল্টনের অর্ধশতাধিক সনাতন ধর্মালম্বীসহ অন্য ধর্মের বাংলাদেশী প্রবাসীগণও। হ্যামিল্টন শহরের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন। এদের মধ্যে ছিলেন লন্ডন অন্টারিও, সেন্ট ক্যাথরিনস, গুয়েল্ফ, ইটোবিকো এবং মিল্টনের প্রবাসী বাঙালিগণ। শিশু, কিশোর থেকে প্রবীণ বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। সকলের হাতে ছিল বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল সংখালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবী, চলমান হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবী, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মানের সাথে বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারার অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান। যেসব স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন মন্দির রক্ষায় পাহারা দিয়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয় কিছু প্ল্যাকার্ডে। কানাডা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন হামলায় নিহত, আহতদের সম্মানে সবাই এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। তারপর বক্তব্য রাখেন বেশ কয়েকজন হ্যামিল্টনবাসী। কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান একজন আবৃত্তিশিল্পী। সবার বক্তবের মুখ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বিশ্বাসের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সবার জন্য নিরাপদ একটি দেশ। সবার প্রত্যাশা আগামীতে যেন এমন সহিংসতা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও অন্যান্য সংখালঘুদের উপর না ঘটে। প্রতিবার সরকারের পট পরিবর্তনে রাজনৈতিক পণ হিসাবে হিন্দুদের উপর সহিংসতা বন্ধ করার অনুরোধ ছিল সকলের। নতুন সরকার যেন এই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে সংঘটিত সকল হামলার বিচার করেন সেটাই ছিল সকলের কাম্য।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত