আপডেট :

        ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব

        মানুষ আটকানোর ফাঁদ এখন ‘ত্রাণ বিতরণ’

        নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্যের প্রতিবাদ

        বিজিএমইএ নির্বাচনে বড় জয় ফোরামের

        জলাবদ্ধ হলেও থেমে থাকেনি পরীক্ষা: দুঃসহ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা

        নাহিদ ইসলাম: আমরা ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছি

        সিডিসির নতুন নির্দেশনা: সুস্থ শিশুদের জন্য কোভিড টিকা ঐচ্ছিক, গর্ভবতীদের জন্য সুপারিশ বাতিল

        ক্যালিফোর্নিয়ার 'সাংচুয়ারি' শহর ও কাউন্টিগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ

        রাশিয়ার রাতভর হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১০, আহত ৩৩

        ফিনিক্সের কাছে পাহাড়ি এলাকায় দুই কিশোর-কিশোরীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

        লস এঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজারে ক্রেতাদের দাপট

        লোহাগাড়ার তিন খালে ভাঙন, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

        বাড়ছে গোমতী নদীর পানি

        নিয়ন আলোয় অন্যরকম শুভ-মন্দিরা

        মোশাররফের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

        শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার

        পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার

        ২০২৫–২৬ অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি

        মাস্ককে বড় সোনার চাবি উপহার দিলেন ট্রাম্প

        পুকুর থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড, তাজা গোলা উদ্ধার

পালানোর আগে যে কথা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

পালানোর আগে যে কথা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে ভারত থেকে বারবার ফোন আসছিল। ফোনে বলা হচ্ছিল, যাতে তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। দৈনিক মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে ভাষণে কী বলতে চেয়েছিলেন তা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। সেখানেই এ তথ্য পাওয়া যায়। 


বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী লেখেন, শেখ হাসিনা পালানোর আগে বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন তিনি। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সে সুযোগ পাননি হাসিনা। তখন তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে, সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি।

সূত্রে জানা যায়, ওই বক্তৃতায় তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, বলপূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি জানাতে চেয়েছিলেন। তার শাসনকালে দেশের কী কী উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিল। 

শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছেশেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছে
সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দরকষাকষিও চলছিল। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে। বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। 


হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই: হাসনাতহাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই: হাসনাত
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিল- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যান। সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এর পর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়।

হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত