রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত লোকজনের মধ্যে ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বেলা পৌনে দুইটার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ গনমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।আর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের নাম মজিবুর রহমান ও আলমগীর হোসেন।
রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের আইসিডি টার্মিনাল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি আরেকটি টার্মিনালে যাচ্ছিল। এই দুটি টার্মিনালের মধ্যে রেলপথ আছে। একটি টার্মিনাল থেকে অন্যটিতে যেতে হলে এই পথ পাড়ি দিতে হয়।
ফারুক হোসেনের ভাষ্য, ‘আজ বেলা দেড়টার দিকে কাভার্ড ভ্যানটি এক টার্মিনাল থেকে আরেকটি টার্মিনালে যাওয়ার জন্য রেললাইনে ওঠে। তখন ওই রেলপথে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ট্রেন আসে। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। কাভার্ড ভ্যানের সামনের দুমড়ানো-মোচড়ানো অংশকে ছেঁচড়ে প্রায় ৫০ ফুট দূরে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে এ পথে থাকা গেট ও দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্যাভার্ড ভ্যানের দুমড়ানো-মোচড়ানো অংশটি ট্রেনের ইঞ্জিনের পরের বগিতে আঘাত হানে। এতে বগিটি লাইনচ্যুত হয়ে কাত হয়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আইসিডি পরিদর্শক ফজলুল হক চৌধুরীর দাবি, এখানে ট্রেন চলাচলের সময় ঘণ্টা বাজানো হয়। একটি লাল বাতিও জ্বলে। এর পাশাপাশি আনসারের দুজন সদস্য টার্মিনালের গেটে দায়িত্বে থেকে কাভার্ড ভ্যানের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর দাবি, ঘটনার আগে হান্নান ও মিজান নামের আনসারের দুজন সদস্য কাভার্ড ভ্যানটির চালককে থামানোর সংকেত দেন। কিন্তু চালক তা অমান্য করেন এবং গাড়িটি থামাননি। দুর্ঘটনায় আনসারের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামকে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শেয়ার করুন