ঢাকার ভেতরে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
এসএমপির ফাঁড়িগুলো যেন টাকার খনি!
সেটা খুব সম্ভব আমার ভারত যাওয়ার ঠিক দশ বা পনের দিন আগের ঘটনা। সাল ২০১৯! মাস জুলাই। আমি তখন দৈনিক জালালাবাদ এর ক্রাইম বিটের দায়িত্ব পালন করছি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালি থানার বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ তখনকার এস আই আমার পূর্ব পরিচিত। পাঠানটুলায় আমি যে বাসায় থাকতাম, তার অন্যপাশের এক বাসায় থাকেন সেই পুলিশ সাহেব। তাঁর ফাঁড়ির এক এ এস আই( যিনি সদ্য কনেষ্টেবল থেকে এএসআই হয়েছেন।) ভোরে ক্বীনব্রীজের পাশ থেকে এক জোড়া ছেলে মেয়ে আটক করেছেন। যারা দাবি করছিলো, ঢাকা থেকে চাকুরীর পরিক্ষা দিয়ে আসছে বলে। তিনি তাদের কে অন্য বিষয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে টাকা চান!
পরে ওদের পরিচিত এসএমপির বড় এক কর্মকতার ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাত্র কয়দিন পর, সিলেটে বেড়াতে আসা এক মহিলাকে একই রকম ফাঁসানোর ঘটনা সবার নজরে আসলে এ নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনাটি ঘটে শাহজালাল মাজার ফাঁড়িতে!
রাত গভীর হলেই ফাঁড়িগুলোতে টাকার ধান্দা শুরু হয়।
এই ঘটনাটি আমাকে নিজ থেকে শুনান সেই বর্ড়কতা, খুব মায়া করতেন এসএমপির সেই বড় কর্তা আমাকে। বলেন, ভাই এই ফাঁড়ির সব অবৈধ কাজের ভাগ কমিশনার, এসি, ওসি-সহ অনেকেই পান। তাই ওসির খুব বিশ্বস্থ না হলে এই ফাড়িতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয় না।
হ্যাঁ, এই বড় কর্তা শুধু পদবীতে ছিলেন। কারণ তিনি নিজেও কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না বলে আফসোস করেছেন। কিন্তু আমার সময় কম থাকায় আর অনুসন্ধান করে নিউজ করতে পারি নি!
তাই ফাঁড়ির এই বিষয়গুলো বিশদ ভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। একই অবস্থা, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড ফাঁড়ি ও শাহপরান ফাঁড়ির! সেখানে মানুষ কে দিয়ে টাকা বানানো হয়। রাত হলেই টাকা উড়ে এসব ফাঁড়িতে। এর ভাগ সবাই পান।
রায়হানকে ফাঁড়িতে মেরে ফেলার পর শুধু বরখাস্ত করা হয়েছে এস আই আকবর ও অন্যদের। আসামীদের বিরোদ্ধে খুনের প্রমাণ থাকার পরও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?
পুলিশের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে!
লেখকঃ প্রবাসী সাংবাদিক
শেয়ার করুন