আপডেট :

        ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : কাদের

        শাহরুখ খানের ‘ডানকি’ ট্রেলার

        রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৭ মার্চ

        সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে চাই : মোয়াজ্জেম হোসেন রতন

        বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

        হামাস নেতার বাড়ি ঘেরাও

        নিজস্ব মেধা ও যোগ্যতা থাকলে নিজেকে অবশ্যই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়:মেয়র

        যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপ এমডির মেয়ের মৃত্যু

        বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ৫ বিশিষ্ট নারী

        নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১০

        বাংলাদেশে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস

        ‘এ’ প্লাস ক‍্যাপসুল পাবে ৪ লাখ ৩৪ হাজার শিশু

        ওসি বদলিতে ইসির অনুমোদন

        হামাস নেতার সম্পদ জব্দ

        আয়-সম্পদ বেড়েছে নাহিদের, কমেছে শমসের মুবিনের

        ওবায়দুল কাদেরের বছরে আয় ৪ লাখ টাকা

        মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর

        আমরা একটি স্মার্ট এলাকা গড়ে তুলতে মাস্টার পরিকল্পনা করে কাজ করবো

        ‘তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ’

        বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা

এসএমপির ফাঁড়িগুলো যেন টাকার খনি!

এসএমপির ফাঁড়িগুলো যেন টাকার খনি!

সেটা খুব সম্ভব আমার ভারত যাওয়ার ঠিক দশ বা পনের দিন আগের ঘটনা। সাল ২০১৯! মাস জুলাই।  আমি তখন দৈনিক জালালাবাদ এর ক্রাইম বিটের দায়িত্ব পালন করছি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালি থানার বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ তখনকার  এস আই আমার পূর্ব পরিচিত।  পাঠানটুলায় আমি যে বাসায় থাকতাম, তার অন্যপাশের এক বাসায় থাকেন সেই পুলিশ সাহেব। তাঁর ফাঁড়ির এক এ এস আই( যিনি সদ্য কনেষ্টেবল থেকে এএসআই হয়েছেন।) ভোরে ক্বীনব্রীজের পাশ থেকে এক জোড়া ছেলে মেয়ে আটক করেছেন। যারা দাবি করছিলো, ঢাকা থেকে চাকুরীর পরিক্ষা দিয়ে আসছে বলে। তিনি তাদের কে অন্য বিষয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে টাকা চান!

পরে ওদের পরিচিত এসএমপির বড় এক কর্মকতার ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাত্র কয়দিন পর, সিলেটে বেড়াতে আসা এক মহিলাকে একই রকম ফাঁসানোর ঘটনা সবার নজরে আসলে এ নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনাটি ঘটে শাহজালাল মাজার ফাঁড়িতে!

রাত গভীর হলেই ফাঁড়িগুলোতে টাকার ধান্দা শুরু হয়।
এই ঘটনাটি আমাকে নিজ থেকে শুনান সেই বর্ড়কতা, খুব মায়া করতেন এসএমপির সেই বড় কর্তা আমাকে। বলেন, ভাই এই ফাঁড়ির সব অবৈধ কাজের ভাগ কমিশনার, এসি, ওসি-সহ অনেকেই পান। তাই ওসির খুব বিশ্বস্থ না হলে এই ফাড়িতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয় না।

হ্যাঁ, এই বড় কর্তা শুধু পদবীতে ছিলেন। কারণ তিনি নিজেও কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না বলে আফসোস করেছেন। কিন্তু আমার সময় কম থাকায় আর অনুসন্ধান করে নিউজ করতে পারি নি!

তাই ফাঁড়ির এই বিষয়গুলো বিশদ ভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। একই অবস্থা, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড ফাঁড়ি ও শাহপরান ফাঁড়ির!  সেখানে মানুষ কে দিয়ে টাকা বানানো হয়। রাত হলেই টাকা উড়ে এসব ফাঁড়িতে। এর ভাগ সবাই পান।

রায়হানকে ফাঁড়িতে মেরে ফেলার পর শুধু বরখাস্ত করা হয়েছে এস আই আকবর ও অন্যদের।  আসামীদের বিরোদ্ধে খুনের প্রমাণ থাকার পরও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

পুলিশের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে!


লেখকঃ প্রবাসী সাংবাদিক

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত