আপডেট :

        দেশের দুর্বল ব্যাংকে হস্তক্ষেপ করে পুনর্গঠন করা হবে

        ১ হাজার বনাম ১ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে সম্মত

        বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না

        ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের মানুষের জন্য মরণফাঁদ

        রাঙামাটি শহরে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে

        শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের ঘোষণা

        বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক

        শেয়ার বাজারে ঢালাও দরপতন

        দৃষ্টিনন্দন সিভি তৈরির কাজও করবে বট

        দৃষ্টিনন্দন সিভি তৈরির কাজও করবে বট

        রাজনীতি ও মানবতার প্রতিধ্বনি

        পুকুর ভরাট করার অভিযোগে সিলেটে ১০ জনকে আসামি

        পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা, বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা

        সিলেটে সোমবার পর্যন্ত যেমন থাকবে আবহাওয়া

        সিলেটে সোমবার পর্যন্ত যেমন থাকবে আবহাওয়া

        উজানের ঢলে ফুঁসছে ধলাই বাঁধ

        গণঅনশনে জবি শিক্ষার্থীরা, কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

        নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

        বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে তথ্য উপদেষ্টার দাওয়াত

        নারীর অধিকার নিশ্চিত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন

এসএমপির ফাঁড়িগুলো যেন টাকার খনি!

এসএমপির ফাঁড়িগুলো যেন টাকার খনি!

সেটা খুব সম্ভব আমার ভারত যাওয়ার ঠিক দশ বা পনের দিন আগের ঘটনা। সাল ২০১৯! মাস জুলাই।  আমি তখন দৈনিক জালালাবাদ এর ক্রাইম বিটের দায়িত্ব পালন করছি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালি থানার বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ তখনকার  এস আই আমার পূর্ব পরিচিত।  পাঠানটুলায় আমি যে বাসায় থাকতাম, তার অন্যপাশের এক বাসায় থাকেন সেই পুলিশ সাহেব। তাঁর ফাঁড়ির এক এ এস আই( যিনি সদ্য কনেষ্টেবল থেকে এএসআই হয়েছেন।) ভোরে ক্বীনব্রীজের পাশ থেকে এক জোড়া ছেলে মেয়ে আটক করেছেন। যারা দাবি করছিলো, ঢাকা থেকে চাকুরীর পরিক্ষা দিয়ে আসছে বলে। তিনি তাদের কে অন্য বিষয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে টাকা চান!

পরে ওদের পরিচিত এসএমপির বড় এক কর্মকতার ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাত্র কয়দিন পর, সিলেটে বেড়াতে আসা এক মহিলাকে একই রকম ফাঁসানোর ঘটনা সবার নজরে আসলে এ নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনাটি ঘটে শাহজালাল মাজার ফাঁড়িতে!

রাত গভীর হলেই ফাঁড়িগুলোতে টাকার ধান্দা শুরু হয়।
এই ঘটনাটি আমাকে নিজ থেকে শুনান সেই বর্ড়কতা, খুব মায়া করতেন এসএমপির সেই বড় কর্তা আমাকে। বলেন, ভাই এই ফাঁড়ির সব অবৈধ কাজের ভাগ কমিশনার, এসি, ওসি-সহ অনেকেই পান। তাই ওসির খুব বিশ্বস্থ না হলে এই ফাড়িতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয় না।

হ্যাঁ, এই বড় কর্তা শুধু পদবীতে ছিলেন। কারণ তিনি নিজেও কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না বলে আফসোস করেছেন। কিন্তু আমার সময় কম থাকায় আর অনুসন্ধান করে নিউজ করতে পারি নি!

তাই ফাঁড়ির এই বিষয়গুলো বিশদ ভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। একই অবস্থা, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড ফাঁড়ি ও শাহপরান ফাঁড়ির!  সেখানে মানুষ কে দিয়ে টাকা বানানো হয়। রাত হলেই টাকা উড়ে এসব ফাঁড়িতে। এর ভাগ সবাই পান।

রায়হানকে ফাঁড়িতে মেরে ফেলার পর শুধু বরখাস্ত করা হয়েছে এস আই আকবর ও অন্যদের।  আসামীদের বিরোদ্ধে খুনের প্রমাণ থাকার পরও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

পুলিশের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে!


লেখকঃ প্রবাসী সাংবাদিক

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত