আপডেট :

        র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ

        বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত

        কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কতজন?

        বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ বুধবার রাজধানী ঢাকা শীর্ষ ১০ এর বাইরে

        লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবি

        থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রাজধানী ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

        পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক মহা বিপাকে, নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে কর্তৃপক্ষের হাতে

ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক মহা বিপাকে, নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে কর্তৃপক্ষের হাতে

গত মার্চ মাসে তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) ও সিগনেচার ব্যাংক। তখন থেকেই সবার নজরে ছিল ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তির বরাতে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তেই এই ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনের (এফডিআইসি) নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। এ খবরে ব্যাংকটির শেয়ারদর কমেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের আমানত ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি কমেছে। তখন থেকেই কার্যত বিষয়টি ছিল সময়ের অপেক্ষা, এফডিআইসি কবে এই ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেবে।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো মনে করছে, বিপাকে পড়া ফার্স্ট রিপাবলিকের অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে এই ব্যাংকটি আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না। সে জন্য আবারও এক সপ্তাহান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এফডিআইসি। তারা সাধারণত সপ্তাহান্তেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে বাজারের ওপর তেমন একটা প্রভাব না পড়ে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, এফডিআইসির হাতে ফার্স্ট রিপাবলিকের নিয়ন্ত্রণ হাতে আসার পর জে পি মরগ্যান অ্যান্ড চেজ ও পিএনসি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান এই ব্যাংকটি কেনার জন্য মুখিয়ে আছে।

তবে রয়টার্স এ বিষয়ে পিএনসি, জে পি মরগ্যান ও ফার্স্ট রিপাবলিকের কাছে জানতে চাইলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মন্তব্যের জন্য এফডিআইসির সঙ্গ যোগাযোগ করা হলে তারাও অনুরোধের প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

সপ্তাহের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার লেনদেনের বর্ধিত সময়ে ফার্স্ট রিপাবলিকের শেয়ারের দাম ৪৩ শতাংশ কমেছে। তাতে গত এক সপ্তাহেই ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ারদর কমেছে ৭৫ শতাংশ, যার অর্ধেকেরও বেশি কমেছে শুক্রবার। ফলে ফার্স্ট রিপাবলিকের শেয়ারদর রেকর্ড পরিমাণে কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৯ ডলার।

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের বাজার মূলধন ছিল ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার। এই টালামাটালের মধ্যে একসময় তা প্রায় ৫৬ কোটি ডলারে নেমে আসে।

ফার্স্ট রিপাবলিকের দুর্যোগের মধ্যে শুক্রবার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক ব্যাংকের শেয়ারদরও কমেছে। প্যাকওয়েস্ট ব্যাংক করপোরেশনের শেয়ারদর কমেছে ২ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন অ্যালায়েন্সের শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

এদিকে ফার্স্ট রিপাবলিককে কীভাবে বাঁচানো যায়, তার রূপরেখা তৈরি করতে এফডিআইসি, রাজস্ব বিভাগ ও ফেডারেল রিজার্ভ দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে।

কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কয়েকটি ব্যাংক, যেমন ব্যাংক অব আমেরিকা করপোরেশন, সিটি গ্রুপ, জে পি মরগ্যান ও ওয়েলস ফারগো অ্যান্ড কোং সম্মিলিতভাবে ফার্স্ট রিপাবলিককে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলার সহযোগিতা দিয়েছে।

কিন্তু ফার্স্ট রিপাবলিক তথাকথিত ‘ব্যাড ব্যাংক’ তৈরি করতে চেয়েছিল বা সিকিউরিটি ও মর্টগেজের মতো সম্পদ বিক্রি করতে চেয়েছিল, বড় ব্যাংকগুলো যাতে সাড়া দেয়নি।

গত মার্চ মাসে সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কী দুর্বলতা ছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে শুক্রবার। ঠিক সেদিনই ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক নিয়ে এই খবর জানা গেল।

এদিকে সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরাও চান না, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিপাকে পড়লে করদাতাদের অর্থে বেইল আউট করা হোক। এ ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের মধ্যে একধরনের ঐকমত্য আছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়ে ব্যাংক ধসে পড়লে করদাতাদের অর্থে তাদের বাঁচানো ঠিক নয়। তবে রিপাবলিকান সমর্থক ৪০ শতাংশ ও ডেমোক্র্যাট সমর্থক ৫৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, সরকার বেইল আউট করলে তাঁরা সমর্থন করবেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্য, বিনিয়োগের মধ্যে ঝুঁকি সব সময়ই থাকে, বিনিয়োগকারীরা জেনেবুঝেই সেই ঝুঁকি নেন। লাভ হলে ভালো, না হলে খারাপ। এটাই পুঁজিবাদ। ফলে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার অর্থ হয় না।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত