আপডেট :

        এ নিবাসেই যাতে মৃত্যু হয়, এটাই ছিল তাঁর শেষ ইচ্ছা

        ‘আই হেট পলিটিকস’

        একই দিন একই স্থানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমাবেশ

        মুহূর্তেই আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে

        পরিচালক মাজিদ মাজিদির জন্মদিনআজ

        আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন

        বিভিন্ন রঙের সামুদ্রিক প্রবাল সাদা হয়ে যাচ্ছে

        ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের আরব আল–আরামাশি এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে হিজবুল্লাহর ছোড়া ড্রোন হামলায় আহত ১৮ জন

        আলফালাহর বাংলাদেশের কার্যক্রম কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

        মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে

        কলকাতায় মুজিবনগর দিবস পালন

        কিশোর গ্যাং নেতার ‘টর্চার সেল’, কথার হেরফের হলেই নির্যাতন

        আসন্ন নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে

        সংসদ এলাকায় ড্রোন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপির পুত্র

        পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ মুশতাক আহমেদ এখন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ

        পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ মুশতাক আহমেদ এখন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ

        সম্রাট আকবর, রানি এলিজাবেথ ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্ম সম্পর্কে

        সম্রাট আকবর, রানি এলিজাবেথ ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্ম সম্পর্কে

        সম্রাট আকবর, রানি এলিজাবেথ ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্ম সম্পর্কে

        আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে অংশ নেবেন টাইগাররা

ডলারের দাম গড়ে প্রায় ১ টাকা বাড়ল

ডলারের দাম গড়ে প্রায় ১ টাকা বাড়ল

আমাদানি ও আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম বেড়েছে। আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের দাম গড়ে প্রায় এক টাকা বেড়েছে। এ খাতে ডলার ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃদ্ধির হার প্রায় এক শতাংশ। একই সঙ্গে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দামও বেড়েছে গড়ে এক টাকা। প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা। আন্তঃব্যাংক ও আমদানিতে ডলারের দাম বাড়ায় পণ্য আমদানির খরচ বাড়বে। এতে দেশে আমদানি পণ্যসহ সব ধরনের শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অন্যান্য ক্ষেত্রে। ফলে মূল্যস্ফীতির হারে চাপ আরও বাড়বে।

বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্সধারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ২ মে থেকে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে ডলারের দাম এক টাকা করে বাড়িয়েছে। ফলে ওইদিন থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রতি ডলার ১০৮ টাকা করে ব্যাংক কিনছে। ২ মের আগে ছিল ১০৭ টাকা। নতুন দামের সঙ্গে প্রবাসীরা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা বাবদ প্রতি ডলারে পাচ্ছেন আরও আড়ই শতাংশ। এতে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারে তারা পাচ্ছেন ১১০ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকাররা জানান, প্রণোদনার অর্থ প্রথমে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়। পরে তা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এ অর্থ পেতে অনেক দেরি হয়। ফলে এ খাতে ব্যাংকের অর্থ আটকে থাকে। এতে ডলার কেনার খরচ বাড়ে।

আগে রপ্তানি আয় ও অন্যান্য সেবা বা বাণিজ্যিক আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার ছিল ১০৫ টাকা। ২ মে থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে। এর বিপরীতে কিছু খাতে উদ্যোক্তারা প্রণোদনা বাবদ ২ থেকে ২০ শতাংশ অর্থ পাচ্ছেন। আমদানিতে ডলারের গড় দাম এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা ৮৮ পয়সা। ৩০ এপ্রিল ছিল ১০৬ টাকা ৯৬ পয়সা। দাম বেড়েছে ৯২ পয়সা। বৃদ্ধির হার প্রায় ১ শতাংশ। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নগদ ডলারের দামও বেড়েছে। নগদ ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ থেকে ১১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ডলারের দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সৌদি আরবের মুদ্রা সৌদি রিয়াল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো, যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রা রুপিসহ অন্যান্য দেশের মুদ্রার দামও বেড়েছে। এতে মানুষের বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণের খরচ বেড়েছে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ডলার কেনার গড় হবে আমদানিতে ডলার বিক্রির দর। এ হিসাবে আমদানি ব্যয়ে ডলারের দাম হওয়ার কথা ১০৭ টাকা। কিন্তু আমদানিতে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১০৯ টাকার কাছাকাছি। এর কারণ হিসাবে ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংক ইচ্ছা করলে কিছু খাতে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে প্রচলিত দরের চেয়ে আরও ৫০ পয়সা বেশি দিতে পারে। আগে কোনো কোনো ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনার চেয়ে এক শতাংশ বেশি দিত। এখন অনেক ব্যাংকই এটি দিচ্ছে না। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনছে। বিশেষ করে ছোট ব্যাংকগুলো তীব্র ডলার সংকটে ভুগছে। তারা রেমিট্যান্স কিনছে ১১০ থেকে ১১২ টাকায়। এতে তাদের ডলার সংগ্রহের খরচ বেড়ে গেছে। এসব কারণে আমদানিতে ডলারের দাম প্রায় ৯ টাকায় উঠেছে। তবে এ দামেও আমদানির জন্য ডলার মিলছে না। কোনো কোনো ব্যাংক ১১২ থেকে ১২২ টাকাও নিচ্ছে আমদানি খাতে ডলারের দাম। ব্যাংকগুলো ডলারের বাড়তি দাম অন্য খাতে সমন্বয় করে দেখাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সূত্র জানায়, সরকারি খাতের অগ্রণী ব্যাংক আমদানিতে প্রতি ডলার বিক্রি করছে ১০৮ টাকা ৮৪ পয়সা করে। সোনালী ব্যাংক ১০৮ টাকা ৬৯ পয়সা, কৃষি ব্যাংক ১০৮ টাকা ৮৪ পয়সা, জনতা ব্যাংক ১০৮ টাকা ৫৩ পয়সা এবং রূপালী ব্যাংক ১০৮ টাকা ৭৯ পয়সা করে বিক্রি করছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ১০৮ টাকা ৬০ পয়সা, মেঘনা ব্যাংক ১০৮ টাকা ৫৮ পয়সা, আল-আরাফাহ্ ১০৮ টাকা ৬৮ পয়সা এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১০৮ টাকা ৪৭ পয়সা দরে বিক্রি করছে।

কিছু ব্যাংক ১০৭ টাকার বেশি দরে বিক্রি করছে। এর মধ্যে এবি ব্যাংক ১০৭ টাকা ০২ পয়সা, যমুনা ব্যাংক ১০৭ টাকা ৮৮ পয়সা, প্রাইম ব্যাংক ১০৭ টাকা ৪৫ পয়সা এবং উত্তরা ব্যাংক ১০৭ টাকা ৫৭ পয়সা দরে বিক্রি করছে। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান আমদানিতে প্রতি ডলারের দাম দেখিয়েছে ১০৫ টাকা। কিন্তু এ ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলা হচ্ছে না বললেই চলে। ফলে গড় হিসাবে ডলারের দাম কমে দেখানো সম্ভব হচ্ছে। দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ৩২টির ডলারের দাম ১০৭ টাকার ওপরে আছে। বাকি ২৪টি ব্যাংকের দাম ১০৮ টাকার ওপরে।

আমদানিতে ডলারের দাম বাড়ার কারণে খরচ বাড়বে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। এর প্রভাবে বিশেষ করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়বে। কেননা ডলারের দাম বাড়ায় বেশি টাকা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে হবে। ফলে এ খাতেও খরচ বাড়বে। এদিকে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত