আপডেট :

        ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘ

        লস এঞ্জেলেসে ট্রাম্প, দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিউসমের সঙ্গে কাজ করায় আগ্রহ

        যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে নথিপত্রহীন পাঁচ শতাধিক অভিবাসী গ্রেপ্তার

        সরকারি দপ্তরের ১৭ মহাপরিদর্শককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

        বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

        ছাত্র উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তিনি আর সরকারে থাকতে পারবেন না

        তাত্ত্বিক ও গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করবো’

        মূলধন বাড়লো ৩৬৪৭ কোটি টাকা

        আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে: শরিফুলের বাবা

        লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহ

        ‘শেখ মুজিব ইজ ডেড’ কীভাবে ঘটেছিল জানা গেলো

        ইউক্রেনীয় শিশুদের চেয়ে গাজার শিশুদের কম অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে

        আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দল ঘোষণা

        শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গু লি ও কু পি য়ে হ ত্যা

        জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছোট পরিসরে না কি দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার চায়

        জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছোট পরিসরে না কি দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার চায়

        ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়াডটকম’র প্রতিবেদন

        ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দার মৃত্যু

        টিসিবির কার্ড বাতিল করলো বরিশাল সিটি করপোরেশন

        যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়া পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আমেরিকার রেস্টুরেন্টে হুমায়ূন আহমেদের ছবি

আমেরিকার রেস্টুরেন্টে হুমায়ূন আহমেদের ছবি

হুমায়ূন আহমেদ জাদু দেখাতে পারতেন। তবে সেই অর্থে তাঁকে জাদুকর বলা না গেলেও তিনি জাদু দেখিয়েছেন কথা, শব্দ আর নির্মাণের। পেশাদার গীতিকার না হলেও তিনি তাঁর লেখা গানে আবেগে ভাসিয়েছেন শ্রোতাদের। সেই সব গানের মধ্যে বেশ কিছু গানের সুর করেছেন ও গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এস আই টুটুল। তাঁর ব্যান্ডদল ‘ধ্রুবতারা’র নামও হুমায়ূন আহমেদের দেওয়া।

আজ ১৩ নভেম্বর, কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন। এমন দিনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত গায়ক, সুরকার, গীতিকার এস আই টুটুল।

আমেরিকার রেস্টুরেন্টে হুমায়ূন আহমেদের ছবি

স্যার যে বছর চলে গেলেন, সে বছর আমার জন্মদিন। আমার জন্মদিনে স্যার বাসায় বলেছিলেন, ‘টুটুলের তো জন্মদিন, একটু ভালো রান্নাটান্না করো।’ তখন স্যার অসুস্থ নিউইয়র্কের বাসায়। শাওন বুবুকে বলছেন। তখন শাওন বুবু বলছেন, ‘যার জন্মদিন তাঁরই খোঁজ নেই আমারা ভালো রান্নাটান্না করে কী লাভ?’ স্যার বলছেন, ‘যাক ও যদি খোঁজ খবর না নেয় না নেবে, আমরা আমরা ওর জন্মদিন উপলক্ষে একটা খাবার হলো। দেখি আসলে আসল না আসলে নাই, একটা কেক রাখ।’ আমি ওদিন ফ্লোরিডা থেকে ফ্লাই করে চলে আসছি, জন্মদিনে স্যারের দোয়া নিবো। তো আমি এসে ঠিক ১২টা ১ মিনিটে স্যারের বাসায় গেছি। তখন স্যার বললেন, ‘দেখ, কুসুম (স্ত্রী শাওনকে এই নাম ডাকতেন) ও আসবে না, ও আসছে।’ এরপর কেক কেটে বলল,  ‘আজ তো রাত হয়ে গেল, কাল তোমাকে বাইরে খেতে নিয়ে যাব।’ তারপর আমাকে খেতে নিয়ে গেলেন খুব সুন্দর একটা রেস্তোরাঁয়। আমার জন্মদিন ঘিরে পুরো পরিবার সেখানে। খাওয়ার পর স্যার বললেন,  তোমাকে অন্য এক জায়গায় নিয়ে যাব বার্গার, স্যান্ডউইচ খেতে। অনেক পুরাতন একটা রেস্টুরেন্টে। অনেক বড় বড় জনের ছবি সেখানে আছে। সারা দেয়ালে তারকাদের ছবি অটোগ্রাফসহ। মানে এই রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ার পর যারা তারকা ছিলেন তাদের দাওয়াত করে তাঁরা এই কাজ করেছেন। সেখানে স্যার যাওয়ার পর ওখানে যারা বাঙালি কাজ করেন তাঁরা মালিককে জানালেন স্যারের কথা। মালিক স্যারের কাছে আসলেন, বললেন আপনি বাঙালি তারকা। আপনার একটা ছবি এখানে রাখতে চাই। স্যার ছবি দিলেন। দেখে খুব অবাক হলাম। স্যার আমাকে বললেন, আমি তো সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করি, কেমন লাগল? আমি বললাম খুবই ভালো। এটা তো আমার জন্মদিন গেল, স্যারের জন্মদিনে ১২টার আগে যাওয়ার চেষ্টা করতাম, অনেক মজা করতাম। এখন খুব মিস করি।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত