আপডেট :

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

        হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যা করনীয়ঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

        অপহরণ ও নির্যাতনের শিকারদেলোয়ারকে সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

        শাহি লাচ্ছি ও শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি

        টঙ্গীতে ঝুটের গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে

        অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি ১২৭ জনের

বাংলাদেশি মিথিলাকে বাদ দিল মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ!

বাংলাদেশি মিথিলাকে বাদ দিল মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ!

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই আলোচনায় তিনি। আর মুকুট মাথায় উঠার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিথিলা। মূলত বয়স বিতর্ক এবং যৌন হয়রানির কারণেই বিতর্কিত হয়েছেন তিনি।

কথা ছিল ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিথিলা। সে অনুযায়ী মূল প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইটে উঠেছিল তার নাম। ভোট দেওয়ারও সুযোগ ছিল। কিন্তু সোমবার (১৯ এপ্রিল) মিস ইউনিভার্সের ওয়েবসাইট ঘুরে কোথাও মিথিলার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কেন সরিয়ে দেওয়া হলো মিথিলাকে? কারণ খুঁজতে গেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে তিনটি স্ক্রিনশট। একটি বিউটি পেজেন্টদের নিয়ে কাজ করা ‘সাশ ফ্যাক্টর’ নামের অনলাইন ম্যাগাজিনের, আরেকটি ‘মিস ইউনিভার্স আপডেট’ নামের একটি গ্রুপের এবং অন্যটি ‘পেজেন্ট ফেনাটিক’ নামের একটি পেজের।

‘সাশ ফ্যাক্টর’ তাদের পোস্টে মিথিলার বয়স লুকোচুরি এবং যৌন হয়রানির বিষয়টিও তুলে ধরে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে অনেক বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি বিউটি পেজেন্টরা মিথিলাকে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং তাকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য সাপোর্ট করছেন না।’

অনলাইন ম্যাগাজিনটি তাদের পোস্টের মিথিলাকে নিয়ে নেটিজেনদের মতামতও জানতে চেয়েছে। তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ মিথিলাকে সমর্থন করলেও অনেকে তাকে সমর্থন না করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।


‘মিস ইউনিভার্স আপডেট’ নামের স্ক্রিনশটে লেখা আছে, ‘মিস ইউনিভার্সের অ্যাপ থেকে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে, ‘পেজেন্ট ফেনাটিক’ পেজে দেওয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘মিস ইউনিভার্সের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ থেকে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ তানজিয়া জামান মিথিলার ছবি এবং প্রোফাইল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগিতার জন্য তার বয়স বেশি। অনেক বাংলাদেশি পেজেন্ট ফ্যান তাকে সমর্থন করছে না বির্তকের কারণে।’

মূল আয়োজনের ওয়েবসাইট থেকে মিথিলার প্রোফাইল সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা প্রস্তুতি শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এবারের আসরে অংশ নিতে পারছি না। বিষয়টি মূল আয়োজকদের এই সপ্তাহে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে মিথিলা মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ভিসা আবেদন করতে পারিনি।’ শুনলাম আপনি নাকি পাসপোর্ট রিনিউ করতে দিয়েছেন, নতুন পাসপোর্ট এখনো হাতে পাননি? জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন করেন মিথিলা। বলেন, ‘কে বলেছে আপনাকে?’ তারপর নিজেই বলেন, ‘না এমন কিছু না। আমরা ভিসার আবেদনই করতে পারিনি।’

বয়সের ব্যাপারে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, ‘সবাই গুগল করে বলছেন আমার জন্ম ৩১ জানুয়ারি ১৯৯২। এটা মিথ্যা কথা। বয়সের কোনো তথ্য আমি গোপন করিনি। আমার এসএসসির সনদে যে জন্ম তারিখ ও সাল লেখা আছে, সেটা সত্য নয়। আমার জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট সবকিছুতে লেখা আছে, ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে আমার জন্ম।’

কিন্তু মিথিলার এসএসসি সনদ এবং পাসপোর্টে দেখা যাচ্ছে, তার জন্ম ৩১ জানুয়ারি ১৯৯২। তাহলে কি সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন মিথিলা? জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা এত পেঁচান কেন? সবকিছুতে নেগেটিভ খুঁজে বেড়ান কেন? আমি কোনো ভুল তথ্য দেইনি। ১৯৯২ হলেও আমি কোয়ালিফাইড, ১৯৯৪ হলেও আমি কোয়ালিফাইড। আর বয়সের বিষয়টি মিস ইউনিভার্স বুঝবে। তাদের কাছে সব তথ্য দেওয়া আছে।’

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ই

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত