দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
অভিনয়ে আমাকে কেউ ডাকত না, তাই উপস্থাপনা শুরু করি: জয়
শাহরিয়ার নাজিম জয়কে এ প্রজন্মের দর্শকরা উপস্থাপক হিসেবেই চিনেন। কিন্তু তিনি যে দারুণ একজন অভিনেতাও সে কথা তাদের কাছে অনেকটাই অপরিচিত। তাই উপস্থাপক পরিচয়ের বাইরে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে একজন অভিনেতা হয়েই ধরা দিচ্ছেন আজকাল।
বৃহস্পতিবার রাতে চরকিতে মুক্তি পাওয়া 'গুটি' সিরিজটিতে জয়ের অভিনয় আলদা করেই চোখে পড়েছে সবার। যদিও অভিনেতা হিসেবে আগেই পরীক্ষিত ছিলেন। তারপরও নতুন করে অভিনেতা হয়েই আলোচনায় আসছেন তিনি। গেল বছর রায়হান রাফী পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম '৭ নাম্বার ফ্লোর'-এ দারুণভাবে কামব্যাক ছিল জয়ের। গুটিতে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের চরিত্রের নাম সেলিম। মাদক চোরাকারবারী সুলতানা (আজমেরী বাঁধন)-এর স্বামী তিনি। স্টোরি ডিম্যান্ড অনুযায়ী তার চরিত্র যেমন হওয়া উচিত, জয় ঠিক তেমনভাবেই ধরা দিয়েছেন ওয়েব সিরিজটিতে।
নতুন করে ফেরা নিয়ে জয় বলেন, কিশোরকাল থেকে অভিনয় করি, আমার রক্তে অভিনয় মিশে আছে। এ কাজের আদ্যোপান্ত মোটামুটি জানি। আমাকে ব্যবহারে যারা অপারগ ব্যর্থতা তাদের। যারা আমাকে ব্যবহার করছেন তারা আসলেই কৃতিত্বের দাবিদার। অভিনয়টা আমি জানি, তাই আমাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব নির্মাতাদের। পরপর দুইবার নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ দিলাম। এখন নির্মাতা যদি মনে করেন আমাকে আরও ইউজ করতে পারেন।
দর্শকদের কথা, জয় তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন, অভিনয়ে তার আবার নিয়মিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, নিয়মিত অভিনয়ে ফেরা উচিত নাকি অনুচিত এটা নির্ভর করে প্রডাকশন হাউজ এবং নির্মাতাদের উপর। আমি মনে করি, এর চেয়েও বেস্ট অভিনয় করার ক্ষমতা রাখি। নিজেকে নতুন করে প্রমাণ দেয়ার জন্য '৭ নাম্বার ফ্লোর' ও 'গুটি' এই দুটি কাজই যথেষ্ট! আমাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব নির্মাণে জড়িতদের।
শাহরিয়ার নাজিম জয়, আমি সবসময় অভিনয়টা ধারণ করেছি। কিন্তু তখন আমাকে অভিনয়ে কেউ ডাকেনি বিধায় শিফট করে উপস্থাপনায় যাই। সেখানে সফল হয়েছি। তাই এই মাধ্যমে আমার কমিটমেন্ট ও ব্যস্ততা আছে। তাই ৩০দিন অভিনয় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে যে কাজটি করবো সেটা সিগনেচ্যার কাজ হবে এটা গ্যারান্টেড। কারণ, এখন আমি যে কাজটি করবো জেনে বুঝেই করবো। কাজটি ভালো হবে এটা দৃঢ় বিশ্বাস।
গুটির দর্শক ফিডব্যাক প্রসঙ্গে জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেন, যখন প্রথম প্রথম নাটকে অভিনয় করতাম তখন নাটক প্রচার হলে প্রচুর ফোন, মেসেজ পেতাম। অনেক বছর অভিনয়ের জন্য আবার ফোন বা মেসেজ পাইনি। ওটিটিতে কাজ করে বলতে গেলে অভিনয় অঙ্গনে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। সেই পুরনো দিনের মতো মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সত্যি বলতে আমি আশাই করিনি এতোটা প্রশংসা পাবো। এমন সাড়ায় আমি এক কথায় মুগ্ধ।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন