গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
ববি গিয়েছিলেন মালটায়
দেশ ছাড়ার আগেই জানতেন মালটায় প্রচুর
শীত থাকবে। তাই যাওয়ার সময় লাগেজ
ভর্তি করে গরম কাপড় কিনে নিয়ে
গিয়েছিলেন। কিন্তু এত প্রস্তুতি নিয়েও
কাজ হয়নি! ‘এত শীত পড়বে কল্পনাও
করতে পারিনি। ওখানে গিয়ে নতুন করে
গরম কাপড় কিনতে হয়েছিল।’ ববির শীত
লাগার আরো কারণ আছে—‘অনেক পাতলা
ড্রেস পরে শুটিং করতে হচ্ছিল। শট দিয়েই
গরম কাপড়ের নিচে ঢুকে যেতাম।’
একদিকে প্রচণ্ড শীত, অন্যদিক
আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ থাকায় মাঝে দুই দিন
শুটিং বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
দেশে শুটিং থাকলে সেটে মাঝেমধ্যে
দেরি করে আসেন ববি। কিন্তু ‘নীলিমা’র
সেটে এক মিনিটও দেরি করার সুযোগ ছিল
না। প্রতিদিন ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠতে
হয়েছে। ‘ব্রেকফাস্ট’ না করেই
বসেছেন মেকআপে। ববি বলেন,
‘ছবিটিতে ওই দেশের অনেক
টেকনিক্যাল ক্রু কাজ করেছেন। তাঁরা সময়
মেনে কাজ করেন। ৭টা মানে ৭টা, এক
মিনিটও এদিক-সেদিক নয়।’ সকাল ঠিক ৭টায় শুটিং
শুরু হয়ে চলত মধ্যরাত পর্যন্ত। ঠিকমতো
ঘুমানো তো দূরে থাক, খাওয়াদাওয়াটাও
ঠিকমতো হতো না। এত কষ্টের মধ্যে
মুখে হাসি ফুটত যখন মনিটরে শট দেওয়ার
পর এসে দেখতেন শট সুন্দর হয়েছে।
বিদেশি ক্রুদের সঙ্গে কাজ করার মজার
একটি ঘটনা বললেন—‘আন্ড্রে এবং নিক
নামে ইতালি ও মুম্বাইয়ের দুজন অভিনয়
করেছেন ছবিতে। যখন বলতাম, দেশে
আমরা এক বছরে চার-পাঁচটি ছবির শুটিং শেষ
করে মুক্তি দিই, ওরা বিস্ময়ে চোখ বড়
করে তাকিয়ে থাকত। বলত, কিভাবে তোমরা
গুণগত মান ঠিক রাখো? ওরা বছরে সাধারণ
একটির বেশি ছবি করতে পারে না। ওরা
অনেক খুঁতখুঁতে।’
দ্বীপরাষ্ট্র মালটার ভালেতা, বিরকিরকারাসহ
বেশ কিছু শহরে শুটিং হয়েছে। ছোট্ট
এই দেশটিতে রয়েছে বেশ সুন্দর
সমুদ্রসৈকত ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। শুটিং চলাকালে
যতটুকু দেখেছেন এর বাইরে খুব একটা
ঘোরার সময় পাননি ববি—‘টানা ২৫ দিনে যদি
একটা ছবির ৮০ শতাংশ শুটিং শেষ করতে হয়
এবং শুটিং শেষের পরদিনই যদি দেশে
ফিরতে হয়, তাহলে ঘুরব কিভাবে বলুন।’
ঘুরতে না পারলেও শপিং করেছেন ঠিকই।
‘আমি এমনিতেই শপিংয়ের পাগল। বোন ও
কিছু বন্ধুবান্ধবের জন্য শপিং করেছি এবার।’
মাত্র সপ্তাহখানেক হয়েছে দেশে
ফিরেছেন। ‘নীলিমা’র বাকি শুটিং হবে
বাংলাদেশে।
শেয়ার করুন