আপডেট :

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

        একইসঙ্গে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা

        ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে

        নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

        ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি

অকালপ্রয়াত নায়ক সালমান শাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

অকালপ্রয়াত নায়ক সালমান শাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ঢাকাই সিনেমার অকালপ্রয়াত নায়ক সালমান শাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এখনো এই অভিনেতাকে ভুলতে পারেনি এ দেশের মানুষ।

২০২০ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটির দাবি, সালমানকে হত্যা করা হয়নি, নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার সম্পর্কের জের ধরে পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।

২০২০ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে সালমানের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ তুলে ধরে পিবিআই।

সেগুলো হলো, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা, স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয় এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাপ্রবাহ আঁকা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরে পিবিআই।

এতে দেখানো হয়, ঘটনার শুরুতে ডাবিং থিয়েটারে সালমান ও শাবনূরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে রাগ করে বেরিয়ে যান স্ত্রী সামিরা। ঘটনার আগের রাত সাড়ে ১১টায় সালমানের সেলফোনে চিত্রনায়িকা শাবনূরের কাছ থেকে ফোন আসে।

এ সময় সালমান শাহ কথা বলতে বলতে বাথরুমে ঢুকে যান। বাথরুমে গিয়ে সালমান শাহ চিৎকার করে বলছিলেন, তাকে যেন আর ফোন না দেওয়া হয়।

এরপর রাত ১২টার দিকে তার মোবাইলে আবারও কল দেন শাবনূর। এ সময় সামিরা রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার উদ্দেশে নিচতলার লবিতে চলে যান।

লবিতে সালমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন খান বাসায় ফিরিয়ে আনার জন্য সামিরাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সামিরা বাসায় ফিরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। রাত অনুমান সোয়া ১২টার দিকে শাবনূরের মোবাইল থেকে আবারও কল আসে।

শাবনূরের কল এসেছে দেখতে পেয়ে সালমান শাহ রাগে সিটিসেল মোবাইলটি মেঝেতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া শাবনূরের উপহার দেওয়া ফোনটিও ভেঙে ফেলেন।

পরদিন সালমান শাহ বাসার কাজের সাহায্যকারী মনোয়ারা ভাঙা মোবাইলটি ময়লার ঝুড়িতে রেখে দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বাসায় আসেন। এ সময় সামিরা তার শ্বশুরকে চা-নাশতা খেতে দেন।

ওই সচিত্র প্রতিবেদনের আরো দেখানো হয়, ঘটনার দিন সকালে সালমান শাহ ঘুম থেকে উঠে কিচেন রুমে কাজে সাহায্যকারী মনোয়ারার কাছে পানি চান। মনোয়ারা এক মগ পানি দেন। সালমান শাহ পানি পান করে আরো এক মগ পানি চেয়ে পান করেন। পরে মালি জাকির কলিংবেল বাজান। সালমান নিজেই দরজা খুলে দেন। এ সময় জাকির সালমান শাহের কাছে তিন মাসের বকেয়া বেতন চান। কিন্তু কোনো কথা না বলে ভেতরে চলে যান।

পরে সালমান শাহ দারোয়ান দেলোয়ারকে ইন্টারকমে ফোন করে বলেন, তার বাসায় যেন কাউকে আসতে দেওয়া না হয়। এরপর বেডরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রী সামিরার দিকে একদৃষ্টিতে কিছু সময় তাকিয়ে ছিলেন। সামিরা তখন বিছানায় শোয়া অবস্থায় টিভি দেখছিলেন। সামিরা তখন সালমানকে জিজ্ঞেস করেন, কী দেখছ? সালমান শাহ কোনো কিছু না বলে বাথরুমে চলে যান।

সেখান থেকে বের হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে চলে যান এবং ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় কাজের সাহায্যকারী ডলি তার ছেলে ওমরকে বাথরুম থেকে গোসল করিয়ে বের হন। ওমরের কাপড়চোপড় ড্রেসিংরুমের ভেতরে থাকায় ওমর ও তার মা ডলি দরজা নক করেন। দরজা না খোলায় ওমর বাইরে থেকে বারবার ডাকতে থাকে। ওমর ও ডলি ডাকার পরও দরজা না খোলায় বিষয়টি সামিরাকে জানালে সামিরা ড্রেসিংরুমের চাবি এনে দরজা খোলেন। তখন ওমর, ডলি, মনোয়ারা ও আবুল দরজার সামনে উপস্থিত ছিলেন।

ড্রেসিংরুমের দরজা খুলে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সামিরা চিৎকার দিয়ে সালমান শাহকে নিচ থেকে উঁচু করে ধরেন। তাকে আবুল ও মনোয়ারা সহায়তা করেন। ডলি রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে অ্যালুমিনিয়ামের মই বেয়ে ওপরে উঠে ফাঁসের রশি কেটে দেন। বেলা অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে সালমান শাহকে ধরাধরি করে পাশের বেডরুমে শোয়ানো হয়। সামিরা মাথায় পানি দেন, ডলি ও মনোয়ারা তেল গরম করে সালমানের বুকে, হাতে ও পায়ে মালিশ করেন। খবর পেয়ে দারোয়ান দেলোয়ার সালমান শাহর ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন।

এরপর সালমানের বাবা, মা, ভাইসহ অন্য স্বজনরা ছুটে আসেন। তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হলি ফ্যামিলি থেকে সালমান শাহকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।

প্রায় ১৮ বছর আগের এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। তখন মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেন আদালত।

 এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত