গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
‘রানা প্লাজা’ ছবির প্রদর্শন বন্ধে ফের হাইকোর্টের রুল
রানা প্লাজা সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে সেন্সর বোর্ডের আপিল কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সিনেমার প্রযোজক শামীমা আক্তারের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। অপরদিকে এ মামলার বিবাদী হিসেবে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত ও সহস্রাধিক শ্রমিক আহত হন। ভবনধসের ১৭ দিনের মাথায় ১০ মে বিকেলে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রেশমা আক্তারকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ওই বছরই রানা প্লাজা ধস ও রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে এ চলচ্চিত্রের ছাড়পত্র দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত বছরের ১৬ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রকে সনদপত্র দেয়।
সে অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর ৫০টির বেশি হলে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় প্রযোজনা সংস্থা। তবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের করা একটি রিট আবেদনে ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে প্রযোজক শামীমা আক্তার আপিল বিভাগে গেলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
এরপর এ চলচ্চিত্র মুক্তির দিন ১১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পর্যালোচনায় ‘রানা প্লাজা’ মুক্তিতে বাধা কাটলেও সেন্সর আপিল কমিটিতে আবেদন করার পর গত ৩ নভেম্বর এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে স্থগিতাদেশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
ওইদিন এক আদেশে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আপিল আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন সারাদেশে স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারিএ সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত দেয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই আবেদন করেন শামীমা আক্তার।
শেয়ার করুন