আপডেট :

        শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮০০০ পাতার অভিযোগ

        ইরানকে পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র

        বিসিআই-এর আয়োজনে রিভারসাইড কাউন্টির পেরিস শহরে বাৎসরিক বৈশাখী মেলা ২০২৫

        পিএসজির ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে প্যারিসে আনন্দের বন্যা

        প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নজরুল রক কনসার্ট’

        আজ নয় আগামীকাল নতুন টাকা পাবেন গ্রাহকরা

        সিলেটে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি

        ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব

        মানুষ আটকানোর ফাঁদ এখন ‘ত্রাণ বিতরণ’

        নির্বাচন নিয়ে ভারতের বক্তব্যের প্রতিবাদ

        বিজিএমইএ নির্বাচনে বড় জয় ফোরামের

        জলাবদ্ধ হলেও থেমে থাকেনি পরীক্ষা: দুঃসহ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা

        নাহিদ ইসলাম: আমরা ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছি

        সিডিসির নতুন নির্দেশনা: সুস্থ শিশুদের জন্য কোভিড টিকা ঐচ্ছিক, গর্ভবতীদের জন্য সুপারিশ বাতিল

        ক্যালিফোর্নিয়ার 'সাংচুয়ারি' শহর ও কাউন্টিগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ

        রাশিয়ার রাতভর হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১০, আহত ৩৩

        ফিনিক্সের কাছে পাহাড়ি এলাকায় দুই কিশোর-কিশোরীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

        লস এঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজারে ক্রেতাদের দাপট

        লোহাগাড়ার তিন খালে ভাঙন, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

        বাড়ছে গোমতী নদীর পানি

বিবর্ণ শিশুতোষ চলচ্চিত্র

বিবর্ণ শিশুতোষ চলচ্চিত্র

 

আম কাঁঠালের ছুটি সিনেমার দৃশ্য, ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে।

২০২৩ সালের ১৮ অগাস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘আম কাঁঠালের ছুটি’। এর পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন নির্মাতা।

প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে কতটুকু সংকট বা সম্ভাবনা দেখেছেন–এ প্রশ্নে নূরুজ্জামান বলেন, “সংকটের কথা যদি বলি, শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই শিশুতোষ চলচ্চিত্র কম৷ এখানে যারা টাকা লগ্নি করেন তারা মনে করেন টাকা উঠে আসবে না। অন্যান্য কমার্শিয়াল সিনেমায় যেসব উপাদান থাকে, সেসব উপাদান তো শিশুতোষ চলচ্চিত্রে নেই। এই সিনেমার দর্শক ও তুলনামূলক কম হয়৷

“আমি নিজের টাকায় তৈরি করেছি, আমার কাছে মনে হয়েছিল এটা নিয়ে কাজ করাটা জরুরি। এই টাকাটা উঠে আসা সম্ভব। আমি কিন্তু টাকাটা তুলতে পেরেছি। আমার ইনভেস্টমেন্ট উঠে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে সাহস নিয়ে কাজ করলে এটা উঠানো সম্ভব।”

শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা মুক্তি দিতে চান না–এমন দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “আমরা কিন্তু শিশুতোষ চলচ্চিত্র চালাই, সিনেমা নির্মাণ হলে অবশ্যই চালাব। কিন্তু নির্মাণ না হলে তো আমাদের কিছু করার নেই।”

শিশুদের নিয়ে নির্মিত বিদেশি সিনেমাগুলো ভালো চলছে জানিয়ে মেসবাহ বলেন, “আমাদের হলিউড মুভির দর্শক হয়, ব্যবসা হয়। ‘কুংফু পান্ডা ৪', ‘হাইকিউ: দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’, ‘মোয়ানা-২’ এসব সিনেমা কিন্তু আমরা সপ্তাহের পর সপ্তাহ চালিয়েছি। দর্শক চাহিদা আমরা দেখি। সেই জায়গায় কেন বাংলা সিনেমা চালাব না?

“শিশুতোষ চলচ্চিত্র হওয়া উচিত। ভালো সিনেমা হলে আমাদের দেশের দর্শকরা দেখবে। শুধু বড়দের জন্য বিনোদন থাকবে, ছোটদের জন্য না, সেটা তো হয় না। তাই শিশুতোষ সিনেমা নির্মাণ হওয়া দরকার।”

শিশুদের নিয়ে ভালো সিনেমা হলে হলগুলো দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করেন প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বলও।

তিনি বলেন, “সিনেমা ব্যবসার অবস্থা তো ভালো না, সারা বছরে পাঁচ থেকে ছয়টি ব্যবসা সফল সিনেমাই আমরা পাচ্ছি না। সেখানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র চালানোর সুযোগ কম। তবে ভালো সিনেমা, আলোচিত সিনেমা হলে সেগুলো অবশ্যই চলে। ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ আমরা চালিয়েছি। এরপর আর শিশুতোষ এমন সিনেমা মুক্তি পায়নি।”

হতাশা ওটিটিতেও

ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও শিশুতোষ চলচ্চিত্রগুলোর অবস্থা সুখকর নয়।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার সহপ্রযোজক ‘বঙ্গ’ এর চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান মঞ্জুর জানালেন, এ সিনেমায় বিনিয়োগ করা টাকা উঠে আসেনি।

“এটা খুবই কঠিন একটা শ্যুট ছিল। সুন্দরবন দেখানো, বা একটা খরচের ব্যাপার ছিল। আমরা কিন্তু টাকাটা রিটার্ন পাইনি। মনে করেন ভরাডুবি অবস্থা একদম। বাজেটটা বেশি ছিল। কিন্তু সেটার আয় হিসেবে ১০-১৫ লাখ টাকাও আসেনি।”

 

 

'অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন' সিনেমার দৃশ্য, ছবি: পরীমনির ফেইসবুক থেকে।  

মঞ্জুর বলেন, “আমাদের শিশুতোষ সিনেমা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ আছে, কিন্তু একবার ব্যবসায়িক লস হয়েছে, যদি ৫০ শতাংশ টাকাও ফেরত আসত, তাহলে আবার উদ্যোগ নেওয়া যেত। এখন আমরাও প্রস্তুত না, তবে শিশুতোষ নিয়ে আমাদের আলাদা একটা ভাবনা আছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে ওটিটি তো এখনো মার্কেট প্লেস তৈরি করার মত জায়গায় যেতে পারেনি। এখন হয়ত এক কোটি লোক ওটিটি দেখছে, কিন্তু এই এক কোটি লোকও পয়সা দিয়ে দেখছে না। ফ্রি ডাউনলোড করে দেখছে। যেহেতু ওটিটি ভিন্ন একটা মাধ্যম হিসেবে জায়গা দখল করছে, সেই জায়গা থেকে শিশুদের নিয়েও কাজ তৈরি করা দরকার। তবে শুধু আমরা বানালেই তো হবে না, দর্শকেরও এগিয়ে আসতে হবে।”

শিশুদের নিয়ে কনটেন্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে শিশুদের জন্য 'কিডস টেলস' নামে একটি কর্নার তৈরি করেছে।

প্ল্যাটফর্মটির অপারেশন ম্যানেজার আসাদ ইসলাম বলেন, "'কিডস টেলস' কর্নারে আমরা শিশুদের নিয়ে আফসানা মিমির নির্মাণে 'অফ দ্যা মার্ক' সিনেমাটি রেখেছি। 'বিগ ফাইভ' নামে কোরিয়ান কার্টুন বাংলায় ভাষান্তর করে প্রচার করা হচ্ছে।

 

 

‘ছোটকাকু’ সিরিজের পোস্টার, ছবি: চ্যানেল আই। 

“এছাড়া ফরিদুর রেজা সাগরের 'ছোটকাকু' সিরিজের সব নাটক সেখানে দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদেও 'ছোটকাকু চ্যাপ্টার টু' সিরিজের 'মিশন মুন্সিগঞ্জ' টিভিতে প্রচারের পর সেখানে মুক্তি দেওয়া হবে। এসবের বাইরেও শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'আম কাঁঠালের ছুটি' ও 'মাইক' আইস্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে।”

আইস্ক্রিন শিশুদের কনটেন্টে নির্মাণে গুরুত্ব দেয় দাবি করে আসাদ বলেন, “আমার সবসময় শিশুদের কনটেন্ট নিয়ে ভাবি এবং আমাদের কাজ চলমান। আমরা শিশুদের নিয়ে ভালো গল্প পেলে, কোনো নির্মাতা যদি শিশুদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখায় আমরা তার পাশে সবসময় থাকি, তাদের চিত্রনাট্যে গুরুত্ব দিই, নির্মাণের চেষ্টা করি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন বা যে কোনো ভিজ্যুয়াল মাধ্যমেই আসলে শিশুদের নিয়ে ভাবা উচিত, অনেক ভালো ভালো কাজ হওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।”

পৃষ্ঠপোষকতার অভাব দেখছেন মোরশেদুল ইসলাম

সবচেয়ে বেশি শিশুতোষ সিনেমা নির্মাণ করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। তার 'দূরত্ব', দীপু নাম্বার টু 'আমার বন্ধু রাশেদ', 'আঁখি ও তার বন্ধুরা', 'শরৎ ৭১' সিনেমাগুলো বেশ আলোচিত ও জনপ্রিয় ছিল।

 

 

 

'আঁখি ও তার বন্ধুরা' সিনেমার পোস্টার, ছবি: আইএমডিবি। 

শিশুতোষ চলচ্চিত্র আগের মত নির্মাণ হয় না কেন, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তার কাছে।

এই নির্মাতা বলেন, “শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে। শিশুতোষ চলচ্চিত্র তো বাণিজ্যিক সিনেমা হবে না। যেহেতু বাণিজ্যিক উপাদান নেই, সাধারণ প্রযোজক যারা আছেন, তারা মনে করেন এই সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে না। তারা শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান না।”

মোরশেদুল ইসলাম বলেন, “সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি। আমাদের দেশে কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছে, অনুদানের সিনেমার মধ্যে একটি সিনেমা শিশুতোষ হতে হবে। এখানেও আমরা দেখছি যে যারা অনুদান পাচ্ছে তারা সিনেমা নির্মাণ করছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলো খুব দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলতে পারছে না। শিশুতোষ চলচ্চিত্র বানানো সহজ কাজ না। শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা বুঝে এটা বানাতে হয়। এখানে ফাঁকি দেওয়ারও উপায় থাকে না। তাদের সঙ্গে নিজেকেও শিশু বানাতে হয়৷ এই কারণে অনেক নির্মাতাই সিনেমা বানাতে পারেন না। এটা নির্মাতাদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা।”

শিশুতোষ চলচ্চিত্রকে যে ভালো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, সে কথাও বললেন তিনি।

“শিশুতোষ চলচ্চিত্র বা শিশুদের জন্য যে কোনো কাজকেই আমরা খুব ছোট মনে করি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শিশুতোষ চলচ্চিত্রকে মূল শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয় না। শুধু একটা অংশ থাকে শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা৷ এইখানেও কিন্তু ছোটদের কাজকে উপেক্ষা করা হয়। এসব সম্মিলিত কারণেই শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ কম হয়।”

 

 

নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম, ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে।

শিশুতোষ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনুদানে বৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছেন এই নির্মাতা।

তিনি বলেন,"২০২৩-২৪ অর্থবছরে চারটি শাখায় সরকার ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি চলচ্চিত্র পেয়েছে ৭৫ লাখ টাকা করে। আর চারটি চলচ্চিত্র ৫০ লাখ টাকা করে। এর মধ্যে দুটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘চলনবিলের মানিক’ ও ‘অদ-ভূত’ ৫০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে।

"এটা খুবই বৈষম্যমূলক আচরণ। কারণ ছোটদের সিনেমা নির্মাণ করতে তো আর কম টাকা লাগে না। বরং বেশি টাকা লাগে। ছোটদের সিনেমাকে দেওয়া হয়েছে কম টাকা বড়দের দেওয়া হয়েছে বেশি টাকা। এসব সিনেমাকে ছোট করে দেখা হয়, অবহেলা করা হয়। এসব কারণেই শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে কেউ এগিয়ে আসে না।"

শিশুতোষ চলচ্চিত্রের করুণ দশার মধ্যেও গড়ে উঠেছিল 'চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ' নামে একটি সংগঠন। ২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায় প্রতি বছরই তারা 'আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করে আসছে। তবে কয়েক বছর ধরে ওই উৎসব খুব বড় আকারে হচ্ছে না।

 

 

শিশুতোষ সিনেমা 'ডুমুরের ফুল', ছবি: আইএমডিবি।

এ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, “এখানেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। আগে আমরা সরকার থেকে একটা ফান্ড পেতাম, সেটা কয়েক বছর ধরে পাচ্ছি না। চলচ্চিত্র উৎসব তো বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই আমরা ছোট আকারে করি।”

এ সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় কী? তিনি বললেন, “উত্তরণের কোনো সহজ পথ হয়ত বলা যাবে না। আমাদের শিশুতোষ চলচ্চিত্রকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সব নির্মাতাকেই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো নির্মাতা যারা আছেন, অনেক সফল সিনেমা নির্মাণ করছেন তারা, কিন্তু শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন না। তারা এগিয়ে এলে এই সংকট কাটতে পারে এবং একটা দায়িত্বশীল প্রতিযোগিতা হতে পারে।”

 

 

‘আমার বন্ধু  রাশেদ’ সিনেমার পোস্টার, ছবি: আইএমডিবি। 

আসছে শিশু একাডেমির দুটি সিনেমা

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রযোজনায় নির্মিত হয় খান আতাউর রহমানের 'ডানপিটে ছেলে', সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকির 'গল্প দাদুর গল্প কথা' নামের দুটি চলচ্চিত্র। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় শিশু একাডেমির প্রযোজনায়। এখন পর্যন্ত ৫৭টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠান।

মাঝখানে কিছুটা বিরতি পড়লেও দুটি সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে শিশু একাডেমি।

একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আনজীর লিটন গ্লিটজকে বলেন, শিশু একাডেমি থেকে আগে অনেক সিনেমা নির্মাণ হত, মাঝখানে বিভিন্ন কারণে একটা বিরতি পড়ে গিয়েছিল।

“কিন্তু চলতি বছরে দুটি সিনেমার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। যেগুলো সেন্সর ছাড়পত্রও হয়ে গেছে, শিগগিরই মুক্তি পাবে।”

এর মধ্যে নির্মাতা ও অভিনেতা আফজাল হোসেন পরিচালনা করেছেন 'মানিকের লাল কাঁকড়া'। আর শুভ পাল বানিয়েছেন 'সবুজ পাখি'।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত