লস এঞ্জেলেসে গৃহহীন মাদকাসক্তদের জন্য নতুন হুমকি ‘জম্বি ড্রাগ’ ট্রান্ক
ভেঙে ফেলা হচ্ছে মুনমুনের হাতের মুদ্রা অবয়বে নির্মিত ভাস্কর্য
ভেঙে ফেলা হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিলো বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ ভবন এবং পুরাতন কলা অনুষদ ভবনের মাঝামাঝি পুকুরের অংশে। সামাজিক মাধ্যমে মুনমুন আহমেদ নিজেই বিষয়টি জানান। আর এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
একজন নারী দুহাত সংযুক্ত করে অঞ্জলি দিচ্ছেন, ম্যুরালটি সেই ভাবনা বহন করতো। যেটি দেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিচালক, নৃত্য প্রশিক্ষক ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদের হাতের ছবি থেকে করেছিলেন ভাস্কর্যবিদ মনিন্দ্র পাল।
ম্যুরাল ভাঙার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে মুনমুন আহমেদ নিজেই লিখেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক, এই মুহূর্তে সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যুরাল ‘অঞ্জলি লহ মোর’! যেটি আমার হাতের ছবি থেকে করা হয়েছিল। এটি ভাস্কর্যবিদ মনিন্দ্র পাল করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক-গায়ক্সহ সাধারণ জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গায়ক পান্থ কানাই লিখেন, ‘থামাবে তো পরের কথা, কেও প্রতিবাদও করবে না। দেখেন সব সেলিব্রিটি চিল্পিরা চুপ মাইরা গেছে। দেখেন দেখেন।
একজন জানতে চেয়েছেন, ‘কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে?’ সেই প্রশ্নের জবাবে মুনমুন লিখেছেন, ‘দেশে কোনও ভাস্কর্য থাকতে দেয়া হবে না!’ একজন লিখেছেন, ‘কি যে শুরু করেছে! এদেশের ইতিহাস শিল্প সংস্কৃতি সব ধ্বংস করে ফেলছে একদল মানুষরূপী দানব। ঘৃণা জানানোর কোন ভাষা নেই।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক এবং ক্ষুব্ধ’।
এইদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়। অনুষদ ভবনের সামনের পুকুরটির সৌন্দর্যব বৃদ্ধির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল ভাস্কর্যটি।
কিন্তু ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন মহল ও নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন জনের আপত্তির কারণেই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলেন দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের দায়ে অভিযুক্ত তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
এ বিষয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে অনেক আগেই ডিনবৃন্দ ও সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। এটা সম্ভবত সেই সিদ্ধান্তের কারণেই হচ্ছে। তখন তো অনেকগুলো বিতর্কিত কর্মকাণ্ড হয়েছিলো, কেউ কেউ ভাস্কর্যটি নিয়ে তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছিলো। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন