আপডেট :

        এখনও পিআর পদ্ধতি বুঝতে পারছেন না গয়েশ্বর

        লুকানো অর্কিডের সন্ধান

        ক্যালসিয়াম কম? দুধ ছাড়া পূরণ করুন এই খাবারে

        আয়ের বড় অংশ খাদ্য কেনায় যায়: ১০% পরিবার

        তৃতীয় সিজনে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড কেমন হলো?

        জামায়াত আমিরের উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা

        পুলিশের কাছে অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য মামুনুর রশীদের

        ফেনী-১ আসন থেকে ভোটে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া

        চোরের বদলে চোর নিয়ে সরকার করল? — ফয়জুল করীমের তোপ

        ১৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

        রিকশার সমস্যার সমাধান কোথায়?

        পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রস্তাব এশিয়া কাপে ভারতের জন্য

        মোদিকে কড়া জবাব ওয়াইসির

        সরকারি বালিকা স্কুলে চ্যাম্পিয়নসত্তা অর্জন

        সিলেটের গরম: ৩৭ ডিগ্রি পার, শনিবারের আবহাওয়া

        বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মদদের অভিযোগ

        হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্বেগ

        বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

        টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গাজায় নতুন প্রশাসন ভাবনা

        নেতানিয়াহুর বক্তব্যে সদস্য রাষ্ট্রের ওয়াক আউট

তৃতীয় সিজনে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড কেমন হলো?

তৃতীয় সিজনে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড কেমন হলো?

কোরিয়ান স্কুইড গেম নাকি জাপানি অ্যালিস ইন বর্ডার‌ল্যান্ড। করোনাকালে মুক্তি পাওয়া এ দুটি সিরিজের কোনটি সেরা তা নিয়ে বিভিন্ন সময় পরিচিতদের সঙ্গে বিতর্ক হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, কোরিয়ান ঝড়ের সামনে উড়ে গেছে জাপানি সিরিজ। আসলেই কি তাই?

‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’ হলো ভালো কাজ করেও গুরুত্ব না পাওয়া লোকেদের মতো। অর্থ্যাৎ, স্কুইড গেম নিয়ে উত্তেজনা বেশি, বর্ডার‌ল্যান্ডের কম। 


স্কুইড গেমের মতোই দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ডের তৃতীয় মৌসুম। কোরিয়ান সিরিজটির শেষ মৌসুম দুই ভাগে মুক্তি দিয়েও সেভাবে আকর্ষণ জাগাতে পারেনি। এবার দেখা যাক জাপানি সিরিজ কেমন করলো।

বর্ডারল্যান্ডের দ্বিতীয় সিজন শেষ হয়েছিল হাসপাতালের বারান্দায়। যেখানে ভর্তি থাকা আরিসু (কেন্তো ইয়ামাজাকি) ও উসাগি (তাও তসুয়া) তাদের গেমের স্মৃতি ভুলে গেছে। একে অপরের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হচ্ছে।

 


পাঠকদের জন্য বলে রাখা ভালো- আরিসু ও উসাগি এই সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র। স্কুইড গেমের মতো অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ডও জীবন বাজি রেখে গেম খেলার গল্পনির্ভর। যেখানে কল্পিত শহরে (টোকিও) টিকে থাকতে হলে বিভিন্ন গেমে অংশ নিতে হয়। এতে জয়ীদের বেঁচে থাকার জন্য ভিসা দেওয়া হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী গেমে অংশ নিতে হয়। হেরে গেলে ওই খেলোয়াড়কে মেরে ফেলা হয়। তবে স্কুইড গেমের চূড়ান্ত গেমের মতো বর্ডারল্যান্ডে এককভাবে জয়ী হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

তৃতীয় সিজন
নতুন মৌসুম শুরু হয় টোকিওর বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের দৃশ্যের মধ্য দিয়ে। যেখানে সুখী পরিবার গড়ে তুলেছে আরিসু ও উসাগি। আরিসু কাজ করছে একটি ক্লিনিকে, আর উসাগি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকানে। ঘটনা চক্রে এক সময় তারা আবার বর্ডারল্যান্ডে ফিরে যায়।  

আগের সিজনগুলোতে তাসের কার্ডের সংখ্যা ও স্যুট (হার্ট, ডায়মন্ড, ক্লাব, স্পেড) খেলার জটিলতা ও ধরনের ইঙ্গিত দিতো। কিন্তু তৃতীয় সিজনের গেমে এমন অনুমান করার সুযোগ নেই। এখানে কোনো ইঙ্গিত ছাড়া হঠাৎই গেম সম্পর্কে নির্দেশনা ও খেলোয়াড়দের দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। 

 


বর্ডারল্যান্ডে যাওয়ার পর আরিসু ও উসাগি তাদের বাস্তব জগতে দাম্পত্য জীবনের কথা ভুলে যায়। পৃথক দলের হয়ে গেমে অংশ নেয়। কেবল চূড়ান্ত গেমে গিয়ে তারা একত্রিত হয়। যেখানে বাকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের রাখা হয় ১৬ কক্ষের একটি ভবনে। সেখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় ১৫ পয়েন্ট (কবজিবন্ধনীতে থাকা আয়ু পরিমাপক)। একটি ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতে প্রতিবার দরজা খোলার জন্য ১ পয়েন্ট খরচ হয়। 

শুরুতেই বলেছিলাম, স্কুইড গেমের উত্তেজনা অনেক বেশি। কারণ সেটি সরাসরি পুঁজিবাদের সমালোচনা করে। বিপরীতে বর্ডারল্যান্ড অন্য জাপানি সিরিজগুলোর মতোই মানুষের স্বার্থপরতা ও সহযোগিতার মতো ক্ষেত্রগুলোকে নাড়া দেয়। অর্থ্যাৎ, সরাসরি পুঁজিবাদকে আঘাত না করে এই কাঠামো তৈরির পেছনের কারণগুলোর সমালোচনা করেছে।

বর্ডারল্যান্ডের তৃতীয় মৌসুমের শেষ এপিসোডে এসে আপনি স্কুইড গেমের চূড়ান্ত পর্বের সঙ্গে কিছু সাদৃশ্য পেতে পারেন। ইঙ্গিত পেতে পারেন চতুর্থ মৌসুমেরও।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত