পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
জিন প্রযুক্তিতে বিলুপ্ত ডাইর উলফ আবার ফিরে এল
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি কোলসাল বায়োসায়েন্সেস সম্প্রতি ডাইর উলফ নামক বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ১০,০০০ বছর আগে বিলুপ্ত এই বৃহৎ শিকারী প্রাণীটি "গেম অফ থ্রোনস" সিরিজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই সাফল্যকে বিশ্বের প্রথম সফল 'ডি-এক্সটিঙ্কশন' বা বিলুপ্ত প্রজাতি পুনরুজ্জীবন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
কোলসাল বায়োসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা ১৩,০০০ বছর পুরোনো একটি দাঁত এবং ৭২,০০০ বছর পুরোনো একটি খুলির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডাইর উলফের জিনোম পুনর্গঠন করেছেন। এরপর আধুনিক ধূসর নেকড়ের জিনোমে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ জিনগত বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা করে ডাইর উলফের বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এই সম্পাদিত জিনোম ব্যবহার করে গৃহপালিত কুকুরের মাধ্যমে তিনটি সুস্থ শাবকের জন্ম দেওয়া হয়েছে, যাদের নাম রাখা হয়েছে রোমুলাস, রেমুস এবং খালিসি।
এই শাবকগুলো বর্তমানে একটি সুরক্ষিত প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগারে রাখা হয়েছে, যেখানে তাদের আচরণ ও শারীরিক বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও তারা সম্পূর্ণরূপে ডাইর উলফের জিনোম বহন করে না, তবে তাদের মধ্যে প্রাচীন প্রজাতির শারীরিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এই সাফল্য কোলসাল বায়োসায়েন্সেসের বৃহত্তর মিশনের অংশ, যেখানে তারা উলি ম্যামথ, তাসমানিয়ান টাইগার এবং ডোডো পাখির মতো বিলুপ্ত প্রজাতিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের প্রাণীরা প্রকৃত পরিবেশে পূর্বের আচরণ বা পরিবেশগত ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এই প্রকল্পটি জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে জিন প্রকৌশলের সম্ভাবনা প্রদর্শন করে, তবে এর সাথে নৈতিক ও পরিবেশগত বিতর্কও উত্থাপিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এই প্রযুক্তি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সংরক্ষণে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন