পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
সংকটে জীববৈচিত্র্য
অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপের কারণে প্রতিনিয়ত কমে আসছে বনভূমির আকার। বিপুল এই জনসংখ্যার বসবাসের স্থান তৈরি, জ্বালানির চাহিদা পূরণে উজার হচ্ছে বন, সেইসঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। মানুষের নানাবিধ চাহিদা মেটাতে তৈরি হচ্ছে শিল্প খাত। এতে গ্রাস করে নিচ্ছে কৃষি জমি।
অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে নদীতে দেওয়া হচ্ছে বাঁধ, অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু, ফলে বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ, নষ্ট হচ্ছে জলাধার আর বসবাসের চাহিদা মেটাতে শহর ঢেকে যাচ্ছে বড় বড় কংক্রিটের দালানে। এতে বাড়ছে তাপমাত্রা, সংকটে পড়ছে দেশের জীববৈচিত্র্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষের অসচেতনতা আর দখলদারিত্ব এই সংকটের অন্যতম কারণ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের পরিবেশর ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখতে পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ উন্নয়নসংক্রান্ত নীতিমালা করতে হবে। বিশেষ করে দেশের কৃষি অগ্রযাত্রাকে সুষ্ঠুভাবে ত্বরান্বিত করতে জীববৈচিত্র্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও মানুষকে পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।
তারা বলছেন, গত দুই দশকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে মানবসৃষ্ট নানা কারণ। যা জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ ৬০ ভাগ জ্বালানির চাহিদা পূরণ করছে বনের কাঠ দিয়ে। এছাড়াও বসতবাড়ি নির্মাণ, ফসল চাষাবাদ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, নগরায়ণ, জুমচাষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৃক্ষের পরিচর্যার অভাব, পরিবেশ দূষণ, পাহাড় কাটা, পাহাড় ধ্বংস, বৃক্ষের রোগ, বনবিধি অমান্য করাসহ বিভিন্ন কারণে বন ধ্বংস হচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, প্রকৃতি ধ্বংসের বর্তমান এই ধারা চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে হচ্ছে, তা যদি চলতে থাকে, তাহলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রতি তিনটির মধ্যে একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে। দেখা গেছে, গত ৫০ বছরে গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি বন্যপ্রাণী হ্রাস পেয়েছে। আর সে হিসাবে গত ১০ মিলিয়ন বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রজাতি বিলুপ্তির গড় হার ১০-১০০ গুণ বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে আজ ২২ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২৫’। প্রতি বছরের মতো এ বছরও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিবস পালিত হয়ে থাকে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃ স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাঁচটি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।ন। ফোনালাপে রাজশাহীর নেতা মাহবুবুর রহমান রুবেলকে বলতে শোনা যায়, ‘১৭ বছর খাইনি, এখন খাব।’ জবাবে নওগাঁর শাহজাহান আলীকে বলতে শোনা যায়, তিনিও ১৬ বছর পর এবার কাজ পেয়েছেন।’
জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) রাজশাহীর বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে ৯টি লটে গাছ বিক্রির জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে অংশ নেন শাহজাহান আলী। দরপত্র জমার দিন মাহবুবুর রহমান রুবেলসহ কয়েকজন ঠিকাদার সওজের রাজশাহীর লক্ষীপুরস্থ কার্যালয়ে অবস্থান নেন, যাতে বাইরের কেউ দরপত্র জমা দিতে না পারেন। তবে শাহজাহান আলী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা বাক্সে দরপত্র জমা দেন এবং প্রায় ৬ লাখ টাকায় দুটি লটের কাজ পান। ইতিমধ্যে তাকে টাকা জমা দিতে বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে নওগাঁর ঠিকাদার শাহজাহান আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওদের বাড়ি রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে। দরপত্র আহ্বানকারী সওজের বৃক্ষপালনবিদের অফিসও ঐ এলাকায়। তাদের অনেক কথাই থাকে। আমাকে ফোন করে বলেছে। আমার তো কিছুই করার নেই।’
অন্যদিকে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ছেলেপিলে থাকে। একটা কাজ থাকলে তাদেরও দাবি-দাওয়া থাকেই। কিন্তু শাহজাহান আলী দেখা করেনি। তাই ফোন করে দুইটা কথা বলেছি। এটা ঠিক হয়নি।’ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের বিষয়ে মাহবুবুর রুবেল বলেন, ‘খুব রাগ হয়েছিল তাই বলেছি।’ ফোনালাপের শুরুতে শাহজাহান আলীকে রাজশাহীর মাহবুবুর রহমান রুবেল বলেন, ‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ শাহজাহান আলী কারণ জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান রুবেল বলেন, ‘কারণ, আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’ এ সময় শাহজাহান আলী টেন্ডার হয়ে গেছে জানালে, মাহবুবুর রহমান রুবেল অশ্লীল ভাষায় কথা বলা শুরু করেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন