আপডেট :

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

        বাল্টিমোরে সেতুধসে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের সব ক্রু ভারতীয়

        কে হচ্ছেন নতুন বন্ড

        জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোরে সেতু ধসের সর্বশেষ

        শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত: সাকিব

        রিকশাওয়ালাদের গেম শো

        আর্জেন্টিনায় ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত

        সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

        ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার ও বিদায়ী সংবর্ধনা

        গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

        ভুয়া পিতৃপরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা

        বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

        মস্কোতে আইএসের হামলা চালানো, বিশ্বাস হচ্ছে না মারিয়া জাখারোভার

        নগরীর অচল ১১০টি সিসি ক্যামেরা হল সচল

        একনেকে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

        স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সিকৃবিতে আলোচনা সভা

শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় কেন?

শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় কেন?

সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে অনেক কম বয়সী লোকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে হৃদ্‌রোগ। যাদের বয়স চল্লিশের ঘরে, তাদের তো বটেই, এমনকি, যাদের বয়স কুড়ি কিংবা তিরিশের ঘরে, তারাও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ গুরুত্ব না দেয়া বা জীবনযাপনে অনিয়ম যেমন কারণ হতে পারে, তেমনই আবহাওয়ার বদলও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

শীতকাল এমনিতে অনেকেরই প্রিয় মরসুম। বিশেষ করে বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে কয়েক দিনের শীতের জন্য। কিন্তু এই সময়ে নানা রকম রোগ-ব্যাধি বেড়ে যায়। জ্বর-সর্দি-কাশি যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।

কেন এমন হয়?

যদিও খুব নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই, তা-ও অনেকেই মনে করেন, হঠাৎ তাপমাত্রায় হেরফের হলে, তা প্রভাব ফেলে হৃদ্‌যন্ত্রের ওপরেও। বহু সমীক্ষায় দেখা গেছে শীতের মরসুমে হার্ট অ্যাটাক ছাড়াও হার্টের অন্যান্য সমস্যা এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। শীতে আমাদের শরীরে স্নায়ুব্যবস্থার ‘সিমপ্যাথেটিক অ্যাক্টিভেশন’ বেড়ে যায়। তাই রক্তনালী সঙ্কুচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। একে বলে ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন’। এমন হলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই সারা শরীরে রক্ত সরবারহ করতে আমাদের হৃদ্‌যন্ত্র দ্বিগুণ জোরে কাজ করা শুরু করে। বাইরের তাপমাত্রা অনেকটা কমলে, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে অসুবিধা হয়। তাতে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে যাকে হৃদ্‌যন্ত্রের রক্তনালীর ক্ষতি হয়। যাদের এমনিতেই কোনো রকম হৃদ্‌রোগ রয়েছে, তাদের শরীর এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়।

তার ওপর শীতে শরীরের অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়়ে যায়। ভ্যাসোকনস্ট্রিকশনের জন্য এমনিতেই রক্তনালী সরু হয়ে যায়। তাই হৃদ্‌যন্ত্রে কম পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছয়। এতেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

শীতের আরো কিছু কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। ঠান্ডা পড়লে সকলেই একটু বেশি ঘরকুণো হয়ে যান। হাঁটাচলা বা শরীরচর্চা করার ইচ্ছা কমে যায়। তার ওপর খাদ্যাভ্যাসেও বদল আসে। এমন খাবার খাওয়া বেশি হয়ে যায় যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাস্থ্যের উপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয় নানা দিক থেকেই।

কী করণীয়

১। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র পরুন। শরীরে গরম থাকে যাতে সে দিকে খেয়াল রাখুন।

২। কোনো কোমর্বিডিটি থাকলে, সেই দিকে বিশেষ নজর দিন।

৩। খাওয়াদাওয়া বিশেষ নজর দিন।

৪। শারীরিক পরিশ্রম কমাবেন না।

৫। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আপনার কী কী ধরনের ঝুঁকি হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকুন।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এইচ

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত