জীবনে এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি: কিরণ বেদী
পুরো দিল্লি তো পরের কথা, নিজ আসনেও কোনো দাপট দেখাতে পারেননি কিরণ বেদী। জয় নিশ্চিতের জন্য কৃষ্ণনগরে বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধনের সুরক্ষিত আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছিল তাকে। তবু শেষরক্ষা হয়নি। আম আদমি পার্টির (এএপি) অখ্যাত-অচেনা প্রার্থী এস কে বাগগার কাছে ২৩৭৭ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন কিরণ।এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর কিরণ কী আর বলতে পারেন? রাজ্যের হতাশা কণ্ঠে নিয়ে কেবল বলেছেন, 'জীবনে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।' অথচ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেও কমতি ছিল না আত্মবিশ্বাসে। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির এবারের তুরুপের তাস হিসেবে বিবেচিত কিরণ বলেছিলেন, 'জিতলে কৃতিত্ব দলের, হারলে দায় আমার নিজের।' কিন্তু সত্যি সত্যি হেরে গিয়ে নিজের সেই বক্তব্য থেকেও সরে গেলেন ভারতের আলোচিত এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলে দিয়েছেন, এ হার আমার একার নয়, সামগ্রিকভাবে বিজেপির। এছাড়াও এক টুইটে তিনি বলেন, 'আমি যখন নিজের শতভাগ উজাড় করে দেই না কেবল তখনই পরাজিত হই। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি সবটুকু উজাড় করে কাজ করেছি। এই পরাজয়ের কারণ আমি ও আমার দল খতিয়ে দেখবো।' কিরণের পরাজয় নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু কিরণ আগেভাগেই নিজের দায়মুক্তির জন্যই বোধহয় সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে সুযোগ দিয়েছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নিষ্ঠার সঙ্গে চেষ্টা করেছি। দলের যে কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি তাদের হতাশ করেছি।' এর আগে ৬৪ বছর বয়সী কিরণ টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও নির্বাচনে জয়ী এএপি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, মিড-ডে, জি নিউজ
শেয়ার করুন