আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বইয়ে ভুয়া ছবি

রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বইয়ে ভুয়া ছবি

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রকাশিত একটি বইয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি দিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

বইয়ের একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি জমি নিড়ানি নিয়ে দুই লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর নিচে ক্যাপশনে লিখা আছে- ‘স্থানীয়দের নির্মমভাবে হত্যা করেছে বাঙালিরা’।

বইটিতে ১৯৪০ এর দশকে মিয়ানমারে দাঙ্গার অধ্যায়ে ওই ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বার্মিজ ভাষায় ছবির বিবরণে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বৌদ্ধদের হত্যা করেছে। রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তুলে ধরতে বইয়ে তাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু রয়টার্স ছবিটি পরীক্ষা করে দেখেছে যে, সেটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তোলা হয়েছিল, যখন লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী।

গত জুলাইয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার’ থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়। ওই বইয়ে এরকম তিনটি ভুয়া ছবি পাওয়া গেছে যেগুলোকে রাখাইন অঞ্চলের আর্কাইভ ছবি বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে রয়টার্সের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই তিনটি ছবির মধ্যে দুটি বাংলাদেশ থেকে এবং একটি তানজানিয়া থেকে নেয়া হয়েছে। একটি ছবির মিথ্যা ক্যাপশনে বলা হয়-‘বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গা’, যেটি আসলে রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধের সময়কার একটি ছবি।

এদিকে এসব ছবির সত্যতা নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতয়ে বা সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উ মিও মিন্ট মং মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, তিনি বইটি পড়ে দেখেননি।

‘মিয়ানমারের রাজনীতি ও তাতমাদো: প্রথম পর্ব’ নামে ১১৭ পৃষ্ঠার ওই বইয়ে গত বছরের আগস্টের সামরিক অভিযান নিয়ে সেনাবাহিনীর ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর হিসেবে, সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ আর জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাতমাদো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল নাম।

বইটিতে প্রকাশিত বেশিরভাগ তথ্যের উৎস হিসেবে সেনাবাহিনীর ‘ট্রু নিউজ’ ইউনিটের কথা বলা হয়েছে। গত বছর সংকট শুরু থেকেই ওই ইউনিট সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূলত ফেসবুক ব্যবহার করে ঘটনাপ্রবাহের ‘সংবাদ’ দিয়ে আসছে।

মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের সব বইয়ের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে এই বইটি। শহরের অন্যতম বড় বইয়ের দোকান ইনওয়ার একজন কর্মী জানান, তারা ৫০ কপির অর্ডার দিয়েছিলেন, সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী বলেন, আপাতত নতুন করে এই বই আনার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই, কারণ খুব বেশি মানুষ ওই বই নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

সেনাবাহিনীর তাদের এই নতুন বইয়ে কোনও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সহিংসতার জন্য উল্টো ‘বাঙালি সন্ত্রাসীদের’ ওপর দায় চাপিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই বইয়ে রোহিঙ্গাদের শেকড়ের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাদেরকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।

বইয়ের সূচনায় লেখক লে. কর্নেল কিয়াও কিয়াও উু লিখেন, ‘বাঙালিদের ইতিহাস উদঘাটনের’ লক্ষ্যে ‘ডকুমেন্টরি ফটো’ ব্যবহার করে বর্ণনা তৈরি করা হয়েছে।

রয়টার্স জানাচ্ছে, ওই বইয়ে ৮০টি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক ছবি হিসেবে আটটি ছবিকে ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে তিনটিই ভুয়া বলে রয়টার্সের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। তবে বাকি পাঁচ ছবির সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত