আপডেট :

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

        একইসঙ্গে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা

        ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে

        নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

        ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি

‘৭ দিন নরকে কাটিয়েছি’

‘৭ দিন নরকে কাটিয়েছি’

চীন সরকার একে বলে কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল কাজাখ বংশোদ্ভূত চীনা মুসলিম আইবোতা সেরিকের বাবাসহ অনেককে। তাদের মতে সেটি শিক্ষা কেন্দ্র নয় বরং কারাগার।

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের তারবাগাতে এলাকার একটি মসজিদের ইমাম আইবোতার বাবা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই আর বাবার কোনো খোঁজ পাননি আইবোতা।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার বাবাকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি চীনের কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি, তাকে আদালতেও হাজির করা হয়নি।’

অরিনবেক কোকসেবেক নামে সংখ্যালঘু কাজাখ গোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি বেশ কয়েক মাস ওই বন্দিশিবিরে ছিলেন।

অরিনবেক বলেন,‘আমি সেখানে নরকের সাত দিন পার করেছি। আমার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়, পা ছিল বাঁধা। তারা আমাকে একটি গর্তের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। আমি আমার হাত দুটি উঁচু করলাম এবং উপরের দিকে তাকালাম। এসময় তারা পানি মারতে শুরু করলো। আমি চিৎকার করতে লাগলাম।’

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরে কি হয়েছিল আমার মনে নেই। ওই গর্তে কতক্ষন ছিলাম মনে করতে পারিনি, তবে সময়টা শীতকাল এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। তারা আমাকে বলেছিল, আমি বিশ্বাসঘাতক। কারণ আমার নাকি দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, আমার দেনা আছে এবং আমি জমির মালিক।’ কিন্তু এগুলো সবই মিথ্যা ছিল বলে জানান অরিনবেক।

এক সপ্তাহ পরে অরিনবেককে আরেকটি ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে চীনা ভাষা ও গান শেখানো হয়। তিন হাজার চীনা শব্দ মুখস্থ করলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

অরিনবেক বলেন, ‘তারা কাজাখদের আটক করে কারণ তারা মুসলমান। কেন বন্দী করে? চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাজাখদের চীনা বানানো। তারা পুরো জাতিসত্ত্বাটিকে মুছে ফেলতে চায়।’


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত