আপডেট :

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

৪.৪ বিলিয়ন ব্যয়ের শতভাগ অর্থ আসে ইমিগ্রেশন ফি থেকেই

৪.৪ বিলিয়ন ব্যয়ের শতভাগ অর্থ আসে ইমিগ্রেশন ফি থেকেই

যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ এবং ইমিগ্রেশন সার্ভিসের বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমের পুরো বাজেটের প্রায় শতভাগ ইমিগ্রেশন ফি থেকেই নির্বাহ করা হয়। বিগত অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে ইউএসসিআইএসের বাজেট ছিল ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। আর সেই বাজেটের ৯৭ শতাংশ মেটানো হয় ফির টাকা দিয়ে। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যানবিষয়ক ইউএসসিআইএসের বার্ষিক রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত সপ্তাহে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ইমিগ্রেশন সার্ভিস ৮৭ লাখ বেনিফিটের আবেদন গ্রহণ করেছে। ২৩৭টি বিশ্বব্যাপী অফিসের ১৯ হাজার কর্মকর্তা ও কন্ট্রাক্টর এ আবেদনের রিসিপ্টসমূহের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ নাগরিকত্ব নিয়েছেন এবং ১১ লাখকে গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ মানুষকে। এছাড়া ইমিগ্রেশন কল সেন্টার ১ কোটি ৪০ লাখ কন্ট্রাক্ট সেন্টার কল গ্রহণ করেছে। আর নতুন লোক নিয়োগ ভেরিফাই করেছে ৩ কোটি ৭০ লাখ।
২০১৮ সালে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন বিভাগের বাজেট ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে বেনিফিটের আবেদনও ২০১৭ সাল থেকে ৭ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধি বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ২৮ শতাংশ বলে পরিসংখ্যানে জানানো হয়। সিটিজেনশিপ আবেদন ২০১৪ সাল থেকে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রিনকার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে ল’ফুল পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট (এলপিআর), যারা পরিবারের মাধ্যমে, নিয়োগকারী বা মানবিক কারণে অ্যাসাইলাম বা রিফিউজি হয়েছেন। এলপিআর হচ্ছে যারা আমেরিকায় অবস্থান করে গ্রিনকার্ডের আবেদন করে। আর রয়েছে যারা স্বদেশে বৈধ ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করে।
২০১৮ সালে প্রায় ১১ লাখ মানুষ এলপিআর স্ট্যাটাস পেয়েছে, যাদের সংখ্যা ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে ইউএসসিআইএস প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার গ্রিনকার্ডের আবেদন প্রসেস করেছে ২০১৮ সালে, যা প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে ২০১৭ সাল থেকে। কাজের ভিত্তিতে ল’ফুল পার্মানেন্ট রেসিডেন্টের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৮ সালে এ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ২০ হাজার আবেদন গৃহীত হয়েছে। ২০১৮ সালে রিফিউজি/অ্যাসাইলিদের গ্রিনকার্ডের প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার আবেদন প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়েছে। গ্রিনকার্ডের প্রায় ৯১ শতাংশ আবেদন ২০১৮ সালে প্রসেসিং করা হয়েছে।এছাড়া গ্রিনকার্ড নবায়নের জন ১১ লাখ আবেদন প্রসেস করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে প্রায় ৮২ হাজার অ্যাসাইলাম আবেদন ইমিগ্রেশন অফিসে নিষ্পত্তি করেছে। তা বিগত বছর থেকে ৬১ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালে ইউএসসিআইএস ‘লাস্ট ইন ফার্স্ট আউট’ সিস্টেমে অ্যাসাইলাম আবেদন প্রসেস শুরু করে। আর তাতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়। ব্যাকলগ তাতে ২০১৭ সাল থেকে ২৩ শতাংশ কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া বিশ্বাসযোগ্য ভয় রয়েছে স্বদেশে গেলে তা নিয়েও ইউএসসিআই সজাগ থাকবে। ইউ ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করা হয়েছে ২০১৮ সালে প্রায় ২২ হাজার ২০০টি, যা ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তা ১৩ শতাংশ কমেছে। ইউএসসিআইএস টেম্পরারি প্রটেকশন স্ট্যাটাসের ২ লাখ ৬২ হাজার ৩০০ আবেদন (যা বিগত বছরের ৫৫ শতাংশ বেশি) প্রসেস করেছে।-ঠিকানা

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত