সোলেইমানির জানাজা-মিছিলে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’
ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেইমানির জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। জানাজায় অংশ নেয়া মিছিলে সবাই ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে। জানাজা পরবর্তী মিছিলে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে তেহরানের আকাশ-বাতাস।
ইরানে সোলেইমানির মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে তার ছবি সংবলিত ব্যানার লাগানো হয়েছে। যেসব সিনেমায় হাস্যরসাত্মক দৃশ্য রয়েছে, সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া, দেশজুড়ে মিউজিক কনসার্ট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনী বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলায়মানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহতের পর শুক্রবার এক শোকবার্তায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এসময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
গত শুক্রবার ভোরে বাগদাদি মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হয়। পরে হোয়াইট হাউজ এক টুইট বার্তায় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থরক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সোলেইমানি সম্পর্কে বলেন, বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলেইমানি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই উচ্চ মর্যাদায় তিনি অধিষ্টিত হয়েছেন; তবে তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় দুশমন ও সবচেয়ে জালিম শাসক যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
আয়াতুল্লা খামেনী আরো বলেন, বিগত বছরগুলোতে জেনারেল সোলেইমানি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তার পুরস্কার হিসেবে তিনি শাহাদাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার চলে যাওয়ায় তার রেখে যাওয়া পথ বন্ধ হবে না।
শেয়ার করুন