করোনা প্রতিরোধে গোপন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আমেরিকা
করোনা প্রতিরোধে গোপন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে আমেরিকানারা। গোপনে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির একদল শীর্ষ বিজ্ঞানী, ধনকুবের ও শিল্পপতি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দলটি গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। তাঁদের কাছে করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধের সঠিক পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পনা হোয়াইট হাউসে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা পর্দার আড়ালে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন।
গোপনে করা এই কাজকে দলটির সদস্যরা লকডাউন-যুগের ‘ম্যানহাটান প্রকল্প’ হিসেবে দেখছেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সহায়তা করে। কিন্তু এবার এই করোনা প্রতিরোধের প্রকল্পে নিরবচ্ছিন্ন ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ক ও প্রচুর অর্থ ব্যবহার করছেন তাঁরা।
করোনা প্রতিরোধে গোপন এই দলের নেতৃত্বে আছেন ৩৩ বছর বয়সী ড. টম কাহিল। তিনি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। জানা গেছে, টম কাহিল প্রতিনিয়ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা টিমের সঙ্গে গোপনে এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এই দলে আরও আছেন রাসায়নিক জীববিজ্ঞানী, একজন ইমিউনোবায়োলজিস্ট, নিউরোবায়োলজিস্ট, ক্রোনোবায়োলজিস্ট, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, একজন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট, এপিডেমিওলজিস্ট এবং একজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী। এই প্রকল্পের মূল বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী মাইকেল রোসবাশ। তিনি ২০১৭ সালে জীববিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি বলেন, ‘আমি এই দলের সবচেয়ে কম যোগ্য ব্যক্তি, সেটা বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না।’
গোপন এই দলটি ১৭ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যাতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রচুর অপ্রচলিত পদ্ধতি নেওয়ার জন্য ফেডারেল সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইবোলার বিরুদ্ধে আগে ব্যবহৃত শক্তিশালী ওষুধ দিয়ে করোনায় সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা করা।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস অব হেলথ ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিন্স এই গ্রুপের তৈরি করা রিপোর্টের বেশির ভাগ সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছেন। প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং প্রশাসনের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/আই
শেয়ার করুন