আপডেট :

        শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন

        সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

        আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা

        জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

        জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু

        ডিমের দাম বাড়ছে, কিন্তু মুরগি পালন কি সত্যিই সাশ্রয়ী? অভিজ্ঞ খামারিদের মতামত

        থ্রি ডোরস ডাউন ব্যান্ডের ব্র্যাড আর্নল্ডের স্টেজ-৪ ক্যানসার, সামার ট্যুর বাতিল

        গ্রিনল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তি: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো ডেনমার্ক

        লিবিয়ায় অভিবাসীদের বহিষ্কার পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে পুলিশের অভিযান, বহু শিক্ষার্থী আটক

        চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে তরুণকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা

        ট্রাম্পের বিলাসবহুল ডিনারে মাথাপিছু দেড় মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়

        দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে

        ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

        এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লখে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও মাহিরা খান

        স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না বাস্ত্যুচ্যুতরা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

        মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এখন থেকে রিয়েল আইডি বাধ্যতামূলক

        সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান

        আগুন নিয়ে খেলছে ভারত

        ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ১২ বছরের জেল

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ১২ বছরের জেল


রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২১ কোটি রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি) জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি এই রায় ঘোষণা করেন। তবে, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন নাজিব রাজাক।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা ও সিএনএনের খবরে বলা হয়, বিচারক আজ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সাতটি অভিযোগে দোষী সাবস্ত্য করে পৃথক পৃথক সাজা ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় তিনি বলেন, “এ মামলার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বিচার করে দেখা গেছে, প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।”

ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে একটি অভিযোগে নাজিব রাজাককে তিনি ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করেন।

এছাড়া দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাকে ১০ বছর করে এবং মুদ্রা পাচারের তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাকে আরও ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, নাজিব রাজাকের সবগুলো ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১২ বছর জেল খাটতে হবে মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিব রাজাক নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছিলেন এ মামলার শুনানিতে। তিনি বলেছিলেন, আর্থিক উপদেষ্টারা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

এই মামলার বিচারকে মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আইনের শাসনের জন্য একটি ‘পরীক্ষা’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির রাজনীতিতেও এই রায়ের প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।

নাজিব রাজাক ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯ সালে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ওয়ানএমডিবি নামে এই সার্বভৌম ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাজিব। কিন্তু ২০১৫ সালে ব্যাংক ও বন্ডহোল্ডারদের পাওনা অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই তহবিল নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর তদন্তকারী অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর তারা জানায়, এই তহবিলের সাড়ে চারশ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেই টাকা বিলাসবহুল বাড়ি, প্রাইভেট জেট, দামি শিল্পকর্ম কেনায়, এমনকি হলিউডের সিনেমা প্রযোজনাতেও খরচ হয়েছে।

‘মালয়েশিয়ার এক নম্বর কর্মকর্তা’ হিসেবে চিহ্নিত এক ব্যক্তি ওয়ানএমডিবি থেকে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গ্রহণ করেছেন বলে সে সময় জানান মার্কিন তদন্তকারীরা। পরে জানা যায়, ওই ‘ব্যক্তি’ খোদ নাজিব রাজাক।

এর মধ্যে ওই তহবিলের ৪ কোটি ২০ লাখ রিংগিত (১ কোটি ডলার) নাজিবের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের ঘটনায় গতবছর ৩ এপ্রিল এ মামলার বিচার শুরু করে মালয়েশিয়ার আদালত।

তার আইনজীবীরা এ মামলার শুনানিতে বলেন, এ মামলায় নাজিব রাজাকের অ্যাকাউন্টে আসা যে ৪ কোটি ২০ লাখ রিংগিত নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটা যে ওয়ানএমডিবির টাকা, সেটা জানা ছিল না নাজিব রাজাকের। তার আর্থিক উপদেষ্টা জো লো তাকে বলেছিলেন, সৌদি রাজ পরিবারের অনুদান থেকে এসেছে ওই অর্থ।

২০১৮ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারানো নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরও কিছু দুর্নীতির মামলা এখনও বিচারাধীন।


এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/আই

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত