ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
ইসরায়েল-বাহরাইনের চুক্তিতে পৌঁছেছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায়
ইসরায়েলের সঙ্গে এবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে আরেক আরব দেশ বাহরাইন। আর এবারও দেশ দুইটির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মধ্যস্থতা করেছেন ট্রাম্প। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় ইসরায়েল-বাহারাইনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা জানান। তাছাড়া এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন ও ইসরায়েল এ বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছে।
এই সমঝোতায় পৌঁছাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘটনাকে আরেকটি ঐতিহাসিক বাঁক বদলের দিন হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত মাসে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত। এরপরই মুসলিম বিশ্বে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। হোয়াইট হাউসে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ দুটির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন। ওই অনুষ্ঠানে বাহরাইনও যোগ দেবে বলে তিনি জানান।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন এক বিবৃতিতে জানান, আমিরাতের মতো বাহরাইনের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক স্থাপন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাহরাইন-ইসরায়েল মধ্যকার এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ওপর আরেকটি বিশ্বাসঘাতকতার ছুরিকাঘাত।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন