নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
নেপালে ব্যাপক হারে পশু বলি নিষিদ্ধ
২০০৯ সালে বলিকাঠে চড়েছিল মহিষ, পাঁঠা, মুরগি মিলিয়ে ৫ লাখ পশু। ২০১৪ সালে কমেছিল সংখ্যাটা। ২০১৯–এ গড়হিমাইয়ের চরণে আর একটি পশুও বলি দেয়া যাবে না, জানিয়ে দিল নেপালের মন্দির ট্রাস্ট।
পাঁচ বছর অন্তর নেপালে বারিয়ারপুরে গড়হিমাই উৎসবে বলির ছবি দেখে শিউরে উঠে গোটা দুনিয়া।
দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছিল অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার নেটওয়ার্ক নেপাল এবং হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল/ ইন্ডিয়া (এইচএসআই)। এই দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদনে সাড়া দিয়েই এবার ৩০০ বছরের প্রথা বন্ধের নির্দেশ দিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। উৎসবে ভক্তদের পশু আনার ওপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
চলতি বছরেই গড়হিমাইয়ের মন্দিরে সংক্রান্তির সময় পশুবলিও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। গড়হিমাই উৎসবে বলির বেশিরভাগ পশুই আনা হতো লাগোয়া ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এই পশু পাচার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন এইচএসআই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গৌরি মৌলেখি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যগুলিকে আগামী গড়হিমাই উৎসবের আগে পশু পাচার নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের উচ্চ আদালত। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেই ২০১৪–এর উৎসবে প্রায় ২,৫০০ পশু রক্ষা পেয়েছিল।
শেয়ার করুন