নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
দক্ষিণ কোরিয়া-আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু
যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। আজ সোমবার শুরু হওয়া বিশাল এ মহড়া চলবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত। উত্তর কোরিয়ার হুমকি অগ্রাহ্য করে এ মহড়া শুরু করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সেখানে যেকোনো সামরিক মহড়াকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে বলে এর আগে পিয়ংইয়ং ঘোষণা দিয়েছিল।
বার্ষিক উলচি ফ্রিডম অনুশীলন নামে পরিচিত এ মহড়াকে প্রধানত কম্পিউটার সিমুলেশন বলা হলেও এতে কোরিয়ার ৫০ হাজার ও আমেরিকার তিন হাজার সেনা অংশ নিয়েছে। মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বাত্মক হামলার পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলা হবে। অবশ্য এ সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এবং সিউল তাদের ভাষায় এ মহড়াকে কেবল আত্মরক্ষামূলক বলে দাবি করেছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার আন্তসীমান্ত ইস্যু নজরদারির দায়িত্বে নিয়োজিত কোরিয়া পুনঃএকত্রীকরণ কমিটি এর আগে এ মহড়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয় বিশাল আকারের এ জাতীয় মহড়া প্রায় যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য। এ জাতীয় ঘটনাক্রমে সামরিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে যা সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হলে প্রচণ্ড শক্তিশালী পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন।
অপরদিকে, দুই কোরিয়ার সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিন স্থল মাইন বিস্ফোরণে সীমান্ত টহলে নিয়োজিত দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সেনা পঙ্গু হওয়ার পর গত সপ্তাহ থেকে আন্তসীমান্ত প্রচারণা পুনরায় শুরু করে সিউল। এক দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সীমান্তজুড়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাউড স্পিকার ব্যবহার করে এ প্রচারণা শুরু হয়। তবে স্থল মাইন হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিরোধী আন্তঁসীমান্ত প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধের দাবি করেছে। প্রচারণা বন্ধ না হলে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে বলে এর আগে হুঁশিয়ার করে দেয় উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
শেয়ার করুন