তীব্র গ্যাস সংকটের মুখে ইউরোপের কয়েকটি দেশ
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়েছে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ। ইউরোপীয়রা তাদের আয়ের এক-দশমাংশ জ্বালানিতে ব্যয় করছে।
ধনী পরিবারগুলোতে সাধারণত বড় বাড়ি ও গাড়ি থাকে। যদিও জ্বালানির ব্যয় বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যার কারণ না হলেও মধ্যবিত্তদের ওপর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে। সংগত কারণেই গরিবদের জ্বালানি খরচ তাদের বাজেটের তুলনায় বেড়ে গেছে।
ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের সাবেক দরিদ্র কমিউনিস্ট দেশগুলো সমৃদ্ধ নর্ডিক উত্তরের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া দেশগুলোর ঝুঁকিতে থাকার অন্যতম কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে গ্যাসের পাইকারি মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। একসঙ্গে কয়লার দামও বেড়েছে।
এদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেখানে জ্বালানির দামে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয় না। ঐ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের জ্বালানি আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ফলে যেসব দেশ মূলত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভ্যান বুরডেন বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধানে আমাদের হয়তো কয়েকটি শীত পার হয়ে যেতে পারে। একই ধরনের কথা বলেছেন বেলজিয়ামের জ্বালানিমন্ত্রী তিনে ভ্যান ডের স্ট্রেটেন।
তিনি সবাইকে সতর্ক করেছেন যে, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম না কমলে আগামী ৫ বা ১০টি শীত ইউরোপের জন্য সংকটময় হতে পারে। ইউক্রেনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান এমন দেশগুলো যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার তেল এবং গ্যাস আমদানি কমিয়ে দিয়েছে বা বন্ধ করে দিয়েছে।
অথচ গত বছর ইউরোপে ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছে রাশিয়া। ভ্যান ডের স্ট্রেটেন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, অবিলম্বে ইউরোপে গ্যাসের দাম কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কিছু না করি তাহলে আগামীতে আমাদের জন্য ভয়ানক দিন অপেক্ষা করছে। চলতি সপ্তাহে ইউরোপে বিদ্যুতের দামও বেড়ে গেছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন