ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস
গভর্নিং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জনসন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সোমবার বাংলাদেশ সময় ৫:৪০ টায় বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঋষি সুনাককে হারিয়েছেন তিনি। ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।
তিনি এক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসছেন যখন দেশটি জীবনযাত্রার সংকট, শিল্প অস্থিরতা এবং মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিজয়ী ঘোষণার পর লিজ ট্রাসকে মঞ্চে নিয়ে গিয়ে উষ্ণ অভিবাদন জানানো হয়। মঞ্চে গিয়ে ট্রাস বলেন, ‘ইতিহাসের দীর্ঘতম চাকরির ইন্টারভিউ আয়োজনের জন্য পার্টিকে ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে আমার সমর্থকদেরও ধন্যবাদ।
লিজ ট্রাস অন্যান্য টোরি নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার প্রার্থীদের, বিশেষ করে ঋষি সুনাককে শ্রদ্ধা জানাতে ভুলেননি। তিনি বলেছেন, প্রচারটি ছিল ‘কঠিন লড়াই’ এবং পার্টিতে ‘প্রতিভার গভীরতা এবং প্রশস্ততা’ দেখিয়েছিলেন সুনাক।
বরিস জনসনকেও ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, ব্রেক্সিট সম্পন্ন করায়, কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করা এবং ‘জেরেমি করবিনকে চূর্ণ করার জন্য’ ধন্যবাদ জানান ট্রাস। তিনি জনসনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি কিয়েভ থেকে কার্লিসেল পর্যন্ত প্রশংসিত।’
বরিস জনসনের পদত্যাগ ঘোষণার পর থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং পার্টির নেতৃত্বে আসার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর তিনি মঙ্গলবার রানী এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে স্কটল্যান্ডে যাবেন। তারপর রানী নতুন নেতাকে সরকার গঠন করতে বলবেন।
জনসনকে স্থলাভিষিক্ত করার দৌড়ে এগিয়ে থাকা ট্রাস যদি নিযুক্ত হন, তাহলে ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর থেকে কনজারভেটিভদের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি যে সময়টা থেকে দেশটির সংকট ক্রমশ তীব্র হয়েছে।
বরিস জনসনের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ট্রাস (৪৭) ব্রিটেনের জীবনযাত্রার সংকট মোকাবেলায় দ্রুত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিল মোকাবেলা এবং ভবিষ্যতের জ্বালানি সরবরাহ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আসবেন।
তিনি তার নেতৃত্বের প্রচারাভিযানের সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অর্থনীতিবিদদের মতে যে কারণগুলোর জন্য মুদ্রাস্ফীতি হবে সে বিষয়ে কাজ করবেন। তিনি ট্যাক্স বৃদ্ধি বাতিল করে এবং অন্যান্য শুল্ক কমিয়ে কনভেনশনকে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইনস্টিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ গত মাসে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বড়, স্থায়ী কর কমানোর জায়গা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/আই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]
News Desk
শেয়ার করুন