দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হোম ডিপো থেকে কোটি ডলারের পণ্য চুরি, ১৪ জন গ্রেপ্তার
সোলাইমানি হত্যা: গ্রেফতার হতে পারেন ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন হামলায় প্রাণ হারান ইরানের রেভুলোশনারি গার্ডসের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানি। এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগে তৎকালীন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমি গ্রেফতার হতে পারেন। ইরাকের সিনিয়র সংসদ সদস্য ফাজিল জারিজাওয়িকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পার্স টুডে। ফাজিল জারিজাওয়ি আরেকটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, কাজেমি বর্তমানে বাগদাদের গ্রিন জোন এলাকায় মার্কিন নিরাপত্তায় বসবাস করছেন। জারিজাওয়ি বলেন, ইরাক ও ইরানের দুজন শীর্ষস্থানীয় জেনারেলকে হত্যা করার ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজেমিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন জেনারেল সোলেইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এক ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ বেশ কজন নিহত হন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তৎকালীন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমিসহ দুই দেশের আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে আসামি করে গত ২৭ নভেম্বর বাগদাদের ফেডারেল আপিল আদালতে অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কাজেমির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানালেন ইরাকি সংসদ সদস্য ফাজিল জারিজাওয়ি। ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন জেনারেল সোলেইমানি। তার কুদস বাহিনী সরাসরি দেশটির প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে রিপোর্ট করে।
আয়াতুল্লাহ খামেনির পর জেনারেল সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।সোলেইমানির মৃত্যুর পর আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছিলেন— এই হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে। পেন্টাগনের দাবি, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন জেনারেল সোলেইমানি। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ অভিযান ও ফিলিস্তিন ইসলামি জিহাদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন করতে ইরানের প্রাথমিক অস্ত্র কুদস ফোর্স।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন