২০১৫ সালের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া, কুমিল্লায় আদালতের রায়
জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়
প্রতিবাদ করায় কাশ্মীরী কিশোরকে ভারতীয় পুলিশ আটক করলো
জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। সংবিধানে একে
সীমিত সার্বভৌম ভূখণ্ডের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে
উল্লেখ করে সম্প্রতি এক রায় দিয়েছেন রাজ্যটির
হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ভারতের সংবিধানের ৩৭০
অনুচ্ছেদে এই রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া
হয়েছে যা সংশোধন, বাতিল বা রদ করা যাবে না।
বিচারপতি হাসনাই মাসুদি ও বিচারপতি জনক রাজ
কোতয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ ৬০ পৃষ্ঠার এই রায়
দেন।
আদালত আরো বলেন, সংবিধানের ৩৫এ
অনুচ্ছেদে বিদ্যমান আইনে কাশ্মীরকে সুরক্ষা
দেওয়া হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদকে অস্থায়ী
বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হলেও একবিংশ ধারায়
এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা সংবিধানে
‘অস্থায়ী, অপরিবর্তনশীল ও বিশেষ বিধান’ নামে
স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। আইনসভায় এটি
সংশোধন, বাতিল অথবা রদ করা যাবে না।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দীর্ঘদিন ধরে ৩৭০
অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। বর্তমানে তারা
কেন্দ্রীয় সরকারে থাকায় বিষয়টি আরো গুরুত্ব
পেয়েছে।
এদিকে আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে
স্থানীয় দলগুলো এবং রাজনৈতিক নেতারা, সংখ্যাগরিষ্ঠ
মুসলিমদের প্রতিনিধিরা।
পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (পিডিএফ)
প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী মুথিদা মাহাজের
(এএমএম) নেতা হাকিম মোহাম্মদ ইয়াসিন এটিকে
মাইলফলক রায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা
বলছেন এখন সময় ৩৭০ অনুচ্ছেদকে আরো
শক্তিশালী করা।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের
পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
১০৪৭-৪৮ সালে কাশ্মীর নিয়ে এই দুই দেশে
প্রথম যুদ্ধ হয়। এরপর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়
যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় এবং কারা কিভাবে কাশ্মীর শাসন
করবে তার একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়। এরপর একটি
অংশ পাকিস্তানের অধীনে যায়, যা পাকিস্তান আজাদ
কাশ্মীর বলে এবং অপর অংশটি যায় ভারতের
অধীনে, যাকে তারা জম্মু-কাশ্মীর নামে নামকরণ
করে।
শেয়ার করুন