গ্লোবাল সাইবার স্পেসে চীনের হিকভিশনের হুমকি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিকভিশনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিকভাবে সেবাগ্রহীতাদের নিরাপদ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে ব্যর্থসহ কোম্পানির নজরদারি প্রযুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য সরকারি ভবনগুলোতে চীনা ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। এক মাস আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক ডজন সদস্য চীনের হিকভিশন ও দাহুয়ার তৈরি নিরাপত্তা ক্যামেরার বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব তুলেছিলেন। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ভয়ে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মানবাধিকার লঙ্ঘনে হিকভিশনের সাহায্য করার সন্দেহজনক আচরণের কারণে এ প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
এ ঘটনাগুলো আসলে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যুক্তরাষ্ট্রও বিশ্বের জাতিগুলোকে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করছে। ২০১৯ সালে হিকভিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার কালো তালিকা বা ব্ল্যাকলিস্টে যুক্ত করা হয়ে। মার্কিন কমার্স ডিপার্টমেন্ট এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পেছনে অশুভ হাত ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ওপর চীনের দমন-নিপীড়ন ক্যাম্পেইনে সাহায্য করার অভিযোগ করেছিল।
হিকভিশনের গুপ্তচরবৃত্তির প্রচেষ্টাকে আটকাতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে একটি ফার্মে আমেরিকান কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়। একই সময়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টে একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছিল। এতে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে হিকভিশনের সঙ্গে ভিডিও নজরদারি চুক্তিতে যেতে নিষেধ করা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন