চীনে নারী পাচারের ভয়ঙ্কর চিত্র
এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে চীনে নারী পাচারের ভয়ঙ্কর একটি চিত্র তুলে ধরেছে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে— প্রতি বছর দালালচক্রের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড থেকে অসংখ্য নারী পাচার হয় চীনে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে চীনে নারী পাচারের কয়েকটি মূল কারণ শনাক্ত করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
চীনে নারী পাচারের মূল কারণসমূহ
১. চীনে দীর্ঘদিনের 'এক সন্তান নীতি'র ফলে নারীর সংখ্যা কমে গেছে। এ জন্য প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে নারী পাচারের হার বেড়েছে।
২. দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে চীনের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। ফলে দালালচক্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নারীদের কিনে নেওয়া সহজ হয়েছে চীনা পুরুষদের জন্য।
৩. চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে অনেক নারী চাকরিতে যোগদানের হার বেড়েছে। ফলে সেসব সামর্থ্যবান নারী সংসারে সামান্য অশান্তি দেখা দিলেই সংসার ভেঙে ফেলছেন তারা।
৪. চীনের প্রান্তিক এলাকায় নারীর সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন এক সন্তান নীতির ফলেই মূলত এ সংকট তৈরি হয়েছে।
৫. দীর্ঘদিন চীনে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। এই অসমতার কারণে নারী পাচার বেড়েছে।
চীনের প্রতিবেশী কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড থেকে মূলত বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের চীনে আনা হয়। কম্বোডিয়া থেকে সমুদ্রপথে চীনের সাংহাই অথবা সড়কপথে ভিয়েতনামের ভেতর দিয়ে চীনে নিয়ে যাওয়া হয় নারীদের। পরে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয় চড়া দামে। বিভিন্ন সময় চাকরির প্রলোভনে সেসব দেশে থেকে নারীদের নিয়ে আসা হয় চীনে।
যেভাবে নারীদের বিক্রি করা হয়
প্রথমে নারীদের সমুদ্রপথে বা স্থলপথে নিয়ে যাওয়া হয় চীনে। এর পর ইউনান প্রদেশের একটি জায়গায় আবদ্ধ করে রেখে তাদের ছবি তোলা হয়। সেসব ছবি দালালরা খদ্দেরের কাছে পাঠানোর পর তারা বাছাই করে পছন্দ করে। যাকে পছন্দ করা হয় তাকে একটি গাড়িতে করে ওই খদ্দেরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর নগদ টাকা বিনিময় হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন