আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি
সাপের আত্মহত্যা !
তীব্র মানসিক বা শারীরিক আঘাত থেকে বাঁচতে মানুষের আত্মহত্যার খবর সচরাচরই পাওয়া যায়। তাই বলে একটি সাপ নিজের বিষে নিজেকেই শেষ করে দেবে এমন কথা কি বিশ্বাসযোগ্য? হ্যাঁ, তেমন ঘটনাই ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের ছোট্ট শহর ক্রেইনসে। নিজেকে শেষ করতে সাপের কাণ্ড দেখে সাপুড়ে ম্যাট হ্যাগান ‘সাপের আত্মহত্যা’ই বললেন।এক নারী তার ঘরের সামনে একটি সাপ দেখতে পেয়ে স্থানীয় সাপুড়ে ম্যাট হ্যাগানকে খবর দেন। ম্যাট হ্যাগান সেখানে গিয়ে যা দেখতে পান, তাতে সাপটিকে ধরার কথাই ভুলে যান। দেড় মিটার লম্বা ব্রাউনট্রি সাপটি অনবরত নিজেই নিজের ঘাড়ে কামড়ে চলেছে। ম্যাট হ্যাগান সাপটিকে নিবৃত্ত করতে গিয়েও ব্যর্থ হন। সাপটিকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চাইলেও পারেননি। একটানা আধা ঘণ্টা সাপটি নিজেকে মুচড়ে ধরে কামড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি সাপটি হাতে তুলে নিয়ে দেখতে পান, সেটি মারা গেছে।তিনি বলেন, আমার ১০ বছরের সাপুড়ে জীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। কামড়ের বিষেই সাপটি মারা গেছে। তিনি দেখতে পান ব্রাউনট্রি সাপটির গায়ে কামড়ের চারপাশে ফুলে গেছে। তিনি বলেন, সাধারণত খুব আঘাত পেলেই সাপ তার চারপাশের সবকিছু কামড়ে দেয়। হয়তো প্রবল ব্যথার কারণেই সাপটি এভাবে দুঃখজনকভাবে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। তার সাপুড়ে জীবনে এটি একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন তিনি।ব্রাউনট্রি সাপ অস্ট্রেলিয়ার উত্তরের উপকূলীয় এলাকা, পশ্চিম ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনিতে দেখা যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে প্রায় ২০ লাখ ব্রাউনট্রি দাপিয়ে বেড়ানোর খবর সাপটিকে পরিচিত করে তুলেছে। মেইল অনলাইন।
শেয়ার করুন