জিনপিংয়ের অনুগত লি কিয়াংই হচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে এ অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি যেভাবে দলের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন, তাতে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করার মতো দলে কেউ নেই। অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদে বড় ধরনের রদবদল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান লি কিয়াংয়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। খবর বিবিসির।
বার্ষিক এ অধিবেশনে প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এতে ঘোষিত হওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির হাল ধরতে হবে। জিনপিংয়ের পরে তিনিই হবেন দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধসে সমালোচিতও হয়েছিলেন। তারপরও তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে যাওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
আজ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মঞ্চের কেন্দ্রে থাকবেন। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সেই জায়গা দখল করবেন। তাঁরা দু’জন একেবারেই আলাদা মানুষ। বিশেষ করে জিনপিংয়ের আনুগত্যের দিক থেকে। নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ এবং বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বেও রদবদল আসবে। সবগুলোতেই প্রেসিডেন্টের অনুগতরাই প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তাঁদের ভাষ্য, এর মানে এটা নয় যে তাঁরা যোগ্য নন। বরং প্রশ্ন হলো তাঁরা নির্ভয়ে ও খোলামেলাভাবে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারবেন কিনা। চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। দেশটির বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাকে সাংহাইতে নিয়ে আসার কৃতিত্বও কিয়াংয়ের। এটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সংস্থাটির প্রথম কারখানা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন