আপডেট :

        ধর্ষকের শাস্তি সবার সামনে হোক: সোহম

        বায়ার্নের দাপটে বিদায় ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো, পিএসজির মুখোমুখি কোয়ার্টারে

        ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে রাজনৈতিক উত্তেজনা: কে দায়ী?

        ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি: ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

        এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি জুলাইয়ে প্রকাশিত হবে

        সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ: জুলাই সনদ প্রকাশ করবে এনসিপি - নাহিদ ইসলাম

        রথযাত্রার উৎসবে বিপর্যয়: উড়িষ্যায় ভিড়ে পিষ্ট হয়ে ৩ মৃত, ১০ জন আহত

        মনু মিয়ার শেষ বিদায়ে অভিনেতা খায়রুল বাসারের মানবিকতার জয়

        মেসি-রোনালদো: সময় পেরিয়েও অপ্রতিরোধ্য ফুটবলের দুই কিংবদন্তি

        মুরাদনগরের অশান্তির জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতারা দায়ী: আসিফ মাহমুদ

        ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে দুইবার কাঁপল ধরিত্রী

        হিরো আলমের যত্নে রিয়া মনি, প্রকাশ করলেন তার শারীরিক অবস্থা

        হাছিনা নয় শেখ হাসিনা নয়, তবুও বারবার বদলাচ্ছে স্কুলের নাম

        জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি টাকা

        কোকেন উৎপাদনে ঐতিহাসিক উচ্চতা, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্বেগ

        ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক জোরদারে প্রস্তুত পুতিন, নতুন যোগাযোগের আভাস

        স্বর্ণের বাজারে ধস: এক মাসে সর্বনিম্ন দামে পৌঁছাল হলুদ ধাতু

        সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, ৩০০ গাড়ি অপেক্ষায়

        ট্রাম্পের দাবি: খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ পাইনি

        এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা: কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে নতুন নিয়ম

নির্বাচনে এরদোগানের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ হবে ভূমিকম্প

নির্বাচনে এরদোগানের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ হবে ভূমিকম্প

অতীতের নির্বাচনগুলোতে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য নির্ভরতার জায়গা ছিল। বিশেষ করে, সিগডেমটেপে এবং দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের অন্যান্য গ্রাম ও শহর থেকে ভোটারদের শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছে ক্ষমতাসীন এ কে পার্টি; কিন্তু সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং ধীরগতির উদ্ধার অভিযান কট্টর সমর্থনকেও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এ কে পার্টির সাম্প্রতিক তৎপরতাতেও। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতারা অধিকতর ও ক্রমবর্ধমানভাবে সচেতন হচ্ছেন, যাতে অতীতের সমর্থন ধরে রাখা যায়। মে মাসে নির্বাচনের আগে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার কথা বলেছেন খোদ প্রেসিডেন্ট এরদোগান, যিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্ক শাসন করছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিগডেমটেপের একজন ট্রাক ড্রাইভার বলছেন, ‘এই পুরো গ্রামটি একে পার্টিকে ভোট দিয়েছে, যদিও কেউ জানে না কেন। তবে ভূমিকম্প অবশ্যই আমাদের মতামত পরিবর্তন করেছে, কারণ আমাদের এখানে অনেক দেরিতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে, সেই সঙ্গে তাঁবুও এসেছে অনেক দেরিতে।’

এ অঞ্চলের ভোটাদের সমর্থন হারালে এরদোগান কত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন- তা নির্ধারণ করা কঠিন। তাছাড়া বিরোধী পক্ষ শেষ পর্যন্ত এরদোগানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে রাখতে পারবে কিনা, সেটাও একটা দেখার বিষয়। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মনে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, দ্রুত তার পরিবর্তন হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স গত সপ্তাহে কাহরামানমারাস, আদিয়ামান এবং গাজিয়ানটেপ প্রদেশের প্রায় ৩০ জন বাসিন্দার সাক্ষাৎকার নেয়। তাতে দেখা যায়, স্থানীয়দের রাজনৈতিক আনুগত্য (সমর্থন) স্থানান্তরিত হচ্ছে। এমনকি এক সময়ের কঠোর এরদোগান সমর্থকদের মধ্যেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।

কাহরামানমারাসের একজন ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন, ‘আমার মন সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়েছে। আমাদের এখানে একেপি ছিল শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো, কিন্তু এই ভূমিকম্প আমাদের সবকিছু বদলে দিয়েছে। লোকেরা জানে না তারা কী করছে।’

তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় দেশটির ১১টি প্রদেশের শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে এনেছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ এসব অঞ্চলকে এরদোগানের একে পার্টির রক্ষণশীল দুর্গ মনে করা হয়।

তুরস্কের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বিগত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে রাজ্যগুলোর এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়াসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ভবনের।

রয়টার্স বলছে, তারা যে ৩০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে- সেটা ক্ষতিগ্রস্ত এই এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের সামান্য একটি নমুনা মাত্র। এ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বেশিরভাগ গ্রামীণ এবং শ্রমিক শ্রেণির ভোটাররা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

তবে ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এ কে পার্টির নেতারা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির বিষয়ে সচেতন আছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যে দ্রুত পুনর্গঠন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে তা এবং বিরোধী জোটের বিভ্রান্তি- এই দুইয়ের সমন্বয় তাদের বিজয় নিশ্চিত করবে বলে তারা আত্মবিশ্বাসী।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত