ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপের মুখে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা
সান বার্নার্দিনোর হামলাকারী দম্পতির বাড়িতে গুলি-বিস্ফোরক
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান বার্নার্দিনো শহরের
প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৪
জনকে হত্যার জন্য দায়ী দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, অস্ত্র
ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী সৈয়দ রিজওয়ান
ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭) নিহত হওয়ার পর পুলিশ এ
অভিযান চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, সৈয়দ
রিজওয়ান ফারুক ও তার স্ত্রী তাশফিন মালিকের সম্ভবত
সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে স্যান বার্নার্দিনো শহরের ইনল্যান্ড রিজিওনাল
সেন্টারে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের হলিডে পার্টিতে
রাইফেল নিয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান
রিজওয়ান ও তাসফিন। ২৮ বছর বয়সী রিজওয়ান
জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক ছিলেন। দুই বছর আগে তাসফিনকে (২৭) বিয়ে করেন
তিনি। তাদের ছয় মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। আক্রমণের
উদ্দেশ্যের বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীর
সঙ্গে এ দম্পতির যোগসূত্র আছে কিনা খুঁজছে পুলিশ। বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনার
পর রিজওয়ানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর
পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি
পেয়েছে পুলিশ। স্যান বার্নার্দিনোর পুলিশ
প্রধান জ্যারড বারজুয়ান বলেছেন, ''তাদের উদ্দেশ্য এখনও
জানা যায়নি। তবে সম্ভবত এই দম্পতির আরও হামলা চালানোর
পরিকল্পনা ছিল।'' ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টারে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে
মারা যাওয়ার আগে এই দম্পতি ৭৬ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন
বলে বিবিসি জানিয়েছে। রিজওয়ানের পাকিস্তান সফর
ছাড়া এই দম্পতির সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। এফবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, হামলাকারী এই দম্পতির সম্ভবত একাধিক উদ্দেশ্য ছিল। সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৩
সালে হজের সময় সৌদি আরব সফর করেছিলেন পাকিস্তানি
বংশোদ্ভুত রিজওয়ান। তখনই
আরেক পাকিস্তানি তাসফিনের সঙ্গে তার পরিচয়, তা থেকে
পরিণয় এবং বিয়ের সূত্রেই তাশফিনকে যুক্তরাষ্ট্রে এনেছিলেন রিজওয়ান।
তাসফিনের সঙ্গে অনলাইনেই
রিজওয়ানের পরিচয় ঘটে বলে
তার পরিচিতদের উদ্ধৃত করে লস এঞ্জেলেস টাইমস জানিয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, চরমপন্থার
দিকে ঝুঁকে পড়া ব্যক্তিদের নিয়ে এফবিআইয়ের তৈরি
তালিকায় রিজওয়ান কিংবা তাসফিনের নাম ছিল না। তবে
রিজওয়ান সোশাল মিডিয়া ও ফোনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন
একাধিক জনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়েছিলেন।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত রিজওয়ানের পরিবার
অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শেয়ার করুন