শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন
ফিলিপাইনের ব্যাংকার মায়া দেগুইতোর আপিল খারিজ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিসংক্রান্ত একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর আপিল খারিজ হয়ে গেছে। ফিলিপাইনের আপিল আদালত তাঁর সাজা বহাল রেখেছেন। খবর সিএনএন ফিলিপাইনের।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত ৫৮ পৃষ্ঠার রায়ে আপিল আদালত মায়া সান্তোসের সাজা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন।
আপিলে মায়া সান্তোস বলেছিলেন, বিচারিক আদালত তাঁকে যে শাস্তি দিয়েছিলেন, সেই রায় দেওয়া হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ভুল–বোঝাবুঝি থেকে। এ ছাড়া সে লেনদেন অবৈধ জেনেও তিনি তা হতে দিয়েছেন, এই কথা ‘অনুমান’ প্রসূত বলেও আপিলে আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন মায়া।
কিন্তু ফিলিপাইনের আপিল আদালত মায়া সান্তোসের দাবি খারিজ করে বলেন, মায়া সান্তোস আরসিবিসির নিছক কর্মী ছিলেন না। তিনি যে হিসাব খুলেছিলেন, তাঁর কারণেই পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, মায়া দেগুইতো এই অবৈধ ব্যাংক লেনদেন সহজে বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফিলিপাইনের আদালত সাবেক ওই ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আটটি অভিযোগের সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত করেন। এবার আপিল আদালতও তা বহাল রাখলেন।
আটটি অভিযোগের প্রতিটিতে তাঁকে চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। পরে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের মাকাতি শাখার মাধ্যমে তা ক্যাসিনো ও বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যায়। অর্থ পাচারের এই ঘটনায় আরসিবিসির মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের বড় অংশটি ফিলিপাইন গেলেও বাকি দুই কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া অর্থের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন