গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ম্যাক্রোঁর
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার ইসরায়েলকে গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গাজার বেসামরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এ ধরনের হামলা চালানোর কোনও যুক্তি নেই, মৃত্যু কেবলই অসন্তোষ সৃষ্টি করে। খবর এএফপি’র।
ম্যাক্রোঁর এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানে হলো হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ। যেকোনো উপায়ে বেসামরিকদের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে হামাস, ইসরায়েল নয়।
এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের পরিকল্পনা নেই ইসরাইলের। তবে তাদেরকে একটি উন্নত ভবিষ্যত দিতে চায় ইসরাইল। গাজাকে বঞ্চিত রাখা এবং অবরোধ করে রাখা হয়েছে তাকে নিরস্ত্র করতে, উগ্রবাদ বন্ধ করতে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য।
এদিকে গাজায় ব্যাপকহারে বোমা হামলা ইসরায়েলকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে উত্তম পন্থা, এই ধারণার সঙ্গে একমত নন ম্যাক্রোঁ।
বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের নিজেদেরকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। তবে ইসরায়েলের ব্যাপক পাল্টা হামলায় শিশু, মহিলা ও বয়স্ক মানুষ নিহত হচ্ছে। সুতরাং এর কোন মানে নেই ও বৈধতা নেই। তাই আমরা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় হামাস যোদ্ধারা ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান ও স্থল হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এই যুদ্ধ আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহও সীমান্তের ওপাড় থেকে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই গুলি বিনিময় করছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এমন অবস্থায় আরব লিগ ও ওআইসির মধ্যে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে সৌদি আরব ও ইরান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন