নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া ৪৫ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএনপি
বিক্ষোভে উত্তাল সার্বিয়া
সার্বিয়ায় গত সপ্তাহের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টি। তবে ঐ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। এত দিন আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণভাবে চললেও গত রবিবার প্রথম বারের মতো তা সহিংস হয়ে ওঠে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন রাজধানী বেলগ্রেডে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ সিটি হলের জানালা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী নেতারা। তাদের দাবি, সরকার নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে ক্ষমতাসীন দলকে বিজয়ী করেছে।
তবে বিরোধীদের এই অভিযোগকে ‘আবর্জনা ও মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুসিক। বিরোধী দল গ্রিন-লেফট ফ্রন্টের নেতা রাডোমির লাজোভিচ বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তাকেসহ আরো কয়েক জনকে মারধর করেছেন। বিরোধী নেতাদের সন্দেহ, সিটি হলের জানালা ভাঙার সঙ্গে সরকারি এজেন্টদের উসকানিদাতারা জড়িত থাকতে পারে।
ঐ ঘটনার পর পরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। ভোটের ফল বাতিল ও নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন সাত জন বিরোধী নেতা। তাদের একজন মারিনিকা টেপিক রবিবারের বিক্ষোভে বলেন, আলেক্সান্দার ভুসিক হাজার হাজার ভোট চুরি করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, গত সপ্তাহে বেলগ্রেডের নির্বাচনে ফল পালটানোর জন্য সরকার বাস ভরে কয়েক হাজার মানুষ এনেছিল। অভিযোগকারীরা শহরটিতে ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সার্বিয়ার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘অনিয়মের’ খবর জানিয়েছেন। ভোট কেনা এবং আগেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তারা।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক জরুরি ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভুসিক তার দেশে অস্থিরতার জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছেন।
প্রতিবেশী জার্মানি বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা একটি দেশের নির্বাচনে অসদাচরণের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন