পৌরসভা "খ" শ্রেণি থেকে "ক" শ্রেণিতেও উন্নীত হলো কিন্তু আলোর মুখ দেখছে না
লোহিত সাগরে ফের জাহাজে হামলা
লোহিতসাগরে ফের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। বাণিজ্যিক জাহাজটি পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার এই হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে ভারতীয় বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ব্যাপারে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমুদ্রের গভীর থেকে হলেও হামলাকারীদের খুঁজে বের করবে ভারত। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘোষণা দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। বিশেষ করে ইসরাইলগামী জাহাজে। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যকর না করা পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। এমএসসি ভূমধ্যসাগরীয় শিপিং জানিয়েছে, সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বন্দর থেকে করাচি যাওয়ার পথে তাদের জাহাজ ইউনাইটেড ভি৮ এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে ক্রুদের কোনো ক্ষতি হয়নি। জাহাজটি হামলার শিকার হয়েছে এই তথ্য নিকটবর্তী নৌবাহিনীর জোটকে জানানো হয়েছিল। এ সময় জাহাজটি হামলা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশলও অবলম্বন করে।
এদিকে ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লোহিত সাগরে একটি শত্রু টার্গেটকে প্রতিহত করা হয়েছে। হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ক্রুরা সতর্কতার প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হওয়ার পরে জাহাজটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। অন্যদিকে ভারতীয় বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনায় মুখ খুলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, সমুদ্রের গভীর থেকে হলেও হামলাকারীদের খুঁজে বের করবে ভারত।
রাজনাথ বলেন, আরব সাগরে এমভি ক্যাম প্লুটো ও লোহিতসাগরে এমভি সাইবাবার ওপরে হওয়া ড্রোন হামলাকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। নৌসেনা নজরদারি বাড়িয়েছে। যারাই এই হামলা চালিয়েছে, তাদের সমুদ্রগর্ভ থেকে হলেও খুঁজে বের করব আমরা। যারা এর পিছনে রয়েছে তাদের বিচার হবে।
গত শনিবার রাতে লোহিতসাগরে ভারতীয় পতাকাবাহী একটি তেলের ট্যাংকার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলার শিকার হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্যাংকারটির নাম এম/ভি সাইবাবা। গ্যাবনের মালিকানাধীন ঐ জাহাজটি ঐ দিন ভোরে আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত তেল নিয়ে ভারতের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় জাহাজটি ড্রোন হামলার কবলে পড়ে। ইরান ঐ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন