দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত
দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো এখন ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রতীক না থাকায় বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ভোট উৎসব।
এদিকে পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে পতাকা তৈরির কারখানাগুলোতেও। দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত থাকলেও, এরইমধ্য বেজে গেছে নির্বাচনী ডামাডোল। রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলি, ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ।
তবে আগের মতো নির্বাচনের চাঙা ভাব এবার নেই বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘আগের মতো কাজের চাপে নেই। যেখানে নির্বাচনের আগে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করা লাগতো, সেখানে এখন সন্ধ্যা ৭-৮টার মধ্যেই কাজ গুছিয়ে ফেলা যায়।’
এছাড়াও, নির্ধারিত দিনে ভোট হওয়া নিয়েও সন্দিহান সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক জটিলতার কারণে নির্বাচনের গতানুগতিক জৌলুস হারিয়ে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও অন্যান্য সদস্যদের প্রার্থীতা বাতিলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর এবারের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে গেছে বলেও মত তাদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদালতের বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। যেহেতু পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল হয়ে গেছে, কার্যতই তারা ভোটে অংশ নিতে পারছে না। পরিস্থিতি খারাপ থেকে অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তবে পাকিস্তানে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা চান পাকিস্তানের বাসিন্দারা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন