ভারতের নির্বাচন নিয়ে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য
ভারতের ভোট কুশলী হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এবারও বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় যাবে। তিনি আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও তামিলনাড়ুতে বিজেপি ভালো ফল করবে। ভালো ফল হবে দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে বিজেপির অবস্থান সুসংহত দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু দক্ষিণের তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে দলটির অবস্থান তত ভালো নয়। এর মধ্যে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করে বিজেপি।
প্রশান্ত কিশোর গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, ওডিশায় আশাতীত ফল করতে পারে বিজেপি। আমি মনে করছি, পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি খুব ভালো করবে।’
প্রশান্ত কিশোর বা পিকের এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘পিকে কত বড় ভোট কুশলী জানি না, তবে তিনি আগে নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রমাণ করুন। তারপরে বড় বড় কথা বলবেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর এই মুহূর্তে যে বিজেপিতে প্রয়োজন, তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
অন্যদিকে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এই দিনের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসন রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি আসন।
ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর এক সমীক্ষায় বলেছে, প্রথম দফায় ১০২টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৬২৫ জন। এই প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৬১৮ জনের নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামা খতিয়ে দেখা এক সমীক্ষা রিপোর্টে এডিআর বলেছে, ১৬ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। আবার ২৮ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি।
এর মধ্যে বিজেপির ৭৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬৯ জন কোটিপতি। কংগ্রেসের ৫৬ প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ জন কোটিপতি। সবচেয়ে ধনী প্রার্থীর তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী নকুল নাথ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৬ কোটি। তিনি লড়ছেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া আসন থেকে। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে এবং বিজেপি প্রার্থী যথাক্রমে অশোক কুমার (৬৬২ কোটি) এবং দেবনাথন যাদব (৩০৪ কোটি)।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১৬২ জনের বিরুদ্ধে। ৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলা। খুনের চেষ্টার অপরাধের মামলা হয়েছে ১৯ জনের বিরুদ্ধে। নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে ১৮ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আর ধর্ষণের মামলা রয়েছে একজনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নির্বাচনে নিন্দা ভাষণের অভিযোগ রয়েছে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে।
প্রথম দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে আরজেডির ৪ জন, বিজেপির ৭৭, কংগ্রেসের ৫৬, ডিএমকের ২২, সমাজবাদী পার্টির ৭, তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন। এর মধ্যে আবার ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন বিজেপির ২৮ জন, কংগ্রেসের ১৯, ডিএমকের ১৩, সমাজবাদী পার্টির ৩ ও তৃণমূল কংগ্রেসের ২ জন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন