“ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ
বাংলাদেশি নাদিয়াকে পাশে রেখেই জন্মদিনের কেক কাটলেন রানি
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দীর্ঘতম সময়ে ক্ষমতাসীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯০তম জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। এই দিনে রানিকে অভিধা দেওয়া হয় ব্রিটিশদের ‘রক অব স্ট্রেন্থ’ বা ‘শক্তির শিলা’ হিসেবে। রানির জন্মদিনের উৎসবে মেতে ওঠে পুরো ব্রিটেন।
এই উৎসবের শুরুটা হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব উইনার নাদিয়া হোসাইনের তৈরি কেক কাটার মধ্য দিয়েই। আর নাদিয়াকে পাশে রেখেই নিজের ৯০তম জন্মদিনের কেক কাটেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বৃহস্পতিবার রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসেলে নাদিয়ার বানানো কেকের পাশে দাঁড়িয়ে রানি রসিকতা করে নাদিয়াকে যখন জিজ্ঞেস করলেন ‘এটি কি কাটবো?’ নাদিয়ার সহাস্য উত্তর দিলেন, ‘আমি আশা করছি’।
এরপর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়াকে পাশে রেখেই তিনস্তর বিশিষ্ট কেকটি কাটেন রানি। এ সময় উইন্সর ক্যাসেলের রাস্তায় দাঁড়ানো হাজারো মানুষের সমাবেশ থেকে রব ওঠে ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু কুইন’। কেক কাটার আগে রানি অবশ্য কেকের রং, ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথাও বলেন নাদিয়ার সঙ্গে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ক্যাসলে দেশের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট নাগরিকরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ২৬০ জন বিদেশি কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। আগে থেকে টিকিট সংগ্রহকারী বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিশেষ দিনে উইন্ডসর ক্যাসল রাজপ্রাসাদেই অতিথিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করে সারাদিন কাটান রানি। নিজের জন্মদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করতে সন্ধ্যায় এক হাজার আলোক শিখায় আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়। রাতে বিশেষ ভোজে অংশ নেন আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেইনের তৈরি রানির জন্মদিনের কেকের প্রশংসা করে। কমলালেবুর দই দিয়ে অরেঞ্জ ড্রিজল কেকটি তৈরি করেন নাদিয়া।
এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসাইন দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব উইনার নির্বাচিত হন। সেই থেকেই বৃটেনসহ বিশ্বমিডিয়ায় আলোচনায় থাকছেন নাদিয়া।
শেয়ার করুন