আপডেট :

        আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্থানে নির্মাণ হচ্ছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ টাওয়ার

        ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু, আহত ১০

        ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরের উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি: ক্রিসেন্ট সিটিতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি

        চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি, তবে শুল্ক চুক্তি ট্রাম্পের সম্মতির ওপর নির্ভর

        বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী বোভকে ফেডারেল আপিল আদালতের আজীবন বিচারক নিয়োগ

        রাশিয়ার কাছে ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে সুনামি সতর্কতা

        ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে ছোট বিমান বিধ্বস্ত: তিনজন নিহত

        চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

        মিনিবাইকারদের অবরোধ, স্টান্ট, ও বিশৃঙ্খলা—অভিনেতার মুখে ঘুষি!

        স্টুডিও সিটিতে সড়কে বসে থাকা নারীকে গাড়িচাপা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু

        লস এঞ্জেলেস কাউন্টি: পুলিশ পরিচয় গোপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ

        বাড়ি থেকে ৩৮টি অবহেলিত কুকুর উদ্ধার, মালিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

        নিউ ইয়র্কে প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণকারী ছিলেন সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়

        ১৩ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল প্রতারণা মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির দোষ স্বীকার

        উৎসব’ এখন আপনার হাতের মুঠোয়, ঘরে বসেই দেখুন!

        টি-২০ ক্রিকেটে ইতিহাস: মহেশ তাম্বের ৮ বলে ৫ উইকেটের বিশ্ব রেকর্ড!

        বলিউডের কোন অভিনেত্রী কত পারিশ্রমিক পান?

        বিএনপির অবস্থান: সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়া নির্বাচন বর্জন

        আর্কটিকে আধিপত্য বিস্তারে মার্কিন চাল: রাশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ কিনতে ১৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব

        জুলাই আন্দোলন নিয়ে হতাশা: র‍্যাপার সেজানের শো বর্জনের ডাক

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: সেদিন আসলে কী ঘটেছিল?

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: সেদিন আসলে কী ঘটেছিল?

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিশ্চিত করেছে। 


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক ছিলেন। 

কী করে এই দুর্ঘটনা হলো?

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০ মডেলের। রোববার সকাল নয়টার একটু পরে বিমানটি নামার চেষ্টা করে। তখন নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার পাইলটকে পাখির আঘাতের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। একটু পরেই পাইলট সতর্কতা সংকেত ব্যবহার করেন। বিমানটি এরপর শেষের দিকের অংশ দিয়ে নামার বা বেলি ল্যান্ডিং-এর চেষ্টা করে।

রানওয়ে দিয়ে ছুটে বিমানটি সোজা দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরই বিস্ফোরণ হয় এবং বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানচলাচল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক আন্দ্রে স্পিটথ ডিডাব্লিউকে বলেছেন, মনে হচ্ছিল বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মেরেছিল।

তিনি জানিয়েছেন, কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে ল্যান্ডিংয়ের আগে বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মারছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও পাখি নিয়ে পাইলটকে সতর্ক করেছিল।

তিনি বলেন, ফ্লাইট ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, পাইলট মরিয়া হয়ে পিছনের অংশ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। কারণ, তখন ইঞ্জিনের শক্তি সম্ভবত শেষ হয়ে গেছিল বা খুবই কম ছিল। প্রথমবার নামার চেষ্টার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়েছিল। পরেরবার আর হয়নি। রানওয়ের পর জায়গাটা খুব ছোট ছিল।

তিনি জানান, নিরাপদ বিমানবন্দরগুলিতে রানওয়ের পরেও অনেকখানি জায়গা থাকে, যেখানে গিয়ে বিমান থামতে পারে।

প্রশ্ন থাকছে

কর্তৃপক্ষ বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির আঘাত ও খারাপ আবহাওয়ার কথা বললেও অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নামার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়নি বা দেয়া যায়নি।

লুফৎহানসার পাইলট ও বিমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ান বেকের্ট জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, ব্রের্কিং ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। ফলে পাইলট বিশাল বিপদে পড়েন।

তিনি বলেছেন, প্রধান সিস্টেম ব্যর্থ হলে পাইলট বিকল্প ব্যবস্থায় গিয়ার নামাতে পারেন। সেটাও এখানে হয়নি। 

অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ট্রেভর জেনসেন বলেছেন, বিমান নামার সময় জরুরি সার্ভিসগুলি চালু হয়ে যায়। কিন্তু এখানে বিমানের নামা দেখে মনে হয়েছে, পরিকল্পনাহীনভাবে তা নেমেছে। 

সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা হলে তার তদন্ত করে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(এনটিএসবি)। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তেও সাহায্য করবে।

সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এনটিএসবি-র টিম তদন্তের কাজে সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে। তারা সেখানকার বিমান ও রেল দুর্ঘটনার তদন্তকারী বোর্ডকে তদন্তের কাজে সাহায্য করবে।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত