আপডেট :

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হোম ডিপো থেকে কোটি ডলারের পণ্য চুরি, ১৪ জন গ্রেপ্তার

        ওষুধ নয়, অস্ত্রোপচারও নয়: সহজ হাঁটার কৌশলেই আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমাতে সাফল্য বিজ্ঞানীদের

        জাতিসংঘে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক পরিষদ গঠনের উদ্যোগ

        সনাতন ধর্মীয় তীর্থস্থানে উসকানি প্রতিরোধে প্রশাসনকে নির্দেশ

        বিজরীর প্রতিধ্বনি: নজরুলের গানে নারীর স্বাধীনতার স্বর

        পোষা বিড়ালের মায়া: একাকী মুহূর্তে সত্যিকারের সঙ্গী

        পোষা বিড়ালের মায়া: একাকী মুহূর্তে সত্যিকারের সঙ্গী

        মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ভেঙে পড়ল: 'অত্যন্ত ভয়ংকর' বলে ট্রাম্পের তিরস্কার, ভারতে রাজনৈটিক ঝড়!

        হিজাব নিয়ে বিতর্কে ভিকারুননিসার শিক্ষিকা বরখাস্ত, তদন্তের প্রতিশ্রুতি

        প্রেমের গল্পে নতুন অধ্যায়: টেলর সুইফট-কেলসের বাগদানে উচ্ছ্বাস!

        ডাচ ক্রিকেট দলে নতুন মুখ: সিলেটে বাংলাদেশ সিরিজের জন্য তিন পরিবর্তন

        শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ থেকে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

        অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে 'দুর্বল নেতৃত্বের ফল' বলে আখ্যায়িত করল ইরান

        দক্ষিণ লস এঞ্জেলেসে গুলিবর্ষণে আহত ৫ জন

        ট্রাম্পের ঘোষণা: ওয়াশিংটন ডিসির খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে

        ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাকটনে গাড়ির ভেতরে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

        মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জয়: ৩৭% শ্রমিক বাংলাদেশি

        স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ‘কেজিএফ’ অভিনেতা দিনেশ মাঙ্গালোর

        সাকিবের মনের শান্তি: পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়

        বাংলাদেশ ব্যাংক: গর্ভনর নিয়োগে নতুন নিয়ম, রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার

নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভিযান, ২০ জনকে গ্রেপ্তার

নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভিযান, ২০ জনকে গ্রেপ্তার

নিউ ইয়র্ক সিটির মেট্রোপলিটন এলাকায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) একটি বড় অভিবাসন অভিযান চলিয়েছে আমেরিকার অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এতে অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই অভিযানে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই), হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ), এবং ব্রঙ্কস ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) এজেন্টরা অংশগ্রহণ করেন।

এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্রঙ্কস এলাকার একাধিক স্থান পরিদর্শন করা হয়। যেখানে সশস্ত্র এজেন্টরা সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছেন। এক বিশেষ অভিযানে, কলোরাডোতে অবস্থিত একটি সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিইএ নিউ ইয়র্কের বিশেষ এজেন্ট ফ্র্যাঙ্ক টারেন্টিনো জানিয়েছেন, আমরা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহযোগিতায় আইসিই এবং ইআরও-র সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করেছি যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক, সহিংস অপরাধী হিসেবে পরিচিত এবং আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত।

অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , নিউ ইয়র্ক সিটির ৩টি এলাকায়, বিশেষ করে ওগডেন অ্যাভিনিউ, ডেভো টেরেস এবং ক্রেস্টন অ্যাভিনিউতে অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ২০ জনের মধ্যে ১২ জনের অপরাধমূলক ইতিহাস রয়েছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অন্য আটজনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের অভিযোগ রয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, সহিংস অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের সমন্বয় চলতে থাকবে। আমাদের শহরের নিরাপত্তা এবং জনসাধারণের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

এদিকে, নিউ ইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের প্রধান মুরাদ আওয়াদেহ এই অভিযানকে 'ভীতি সৃষ্টিকারী' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এসব অভিযান অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা নয়, বরং অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।

মেয়র অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের শহরের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত। তবে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শহরের বাসিন্দাদের, নাগরিকদের এবং অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রদান করা।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, যারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করবেন, তাদেরকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং নির্বাসিত করা হবে।

প্রসঙ্গত, এই অভিযান নিউ ইয়র্ক সিটিতে এক সপ্তাহব্যাপী অভিবাসন অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো হয়। যেখানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই অভিযানের ফলে নিউ ইয়র্কের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। অভয়ারণ্য শহরগুলির নেতারা কংগ্রেসে এই অভিযান নিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য তলব করা হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত