ইরানে পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি, আঘাত হানতে পারে ইউরোপে
গোপনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ওয়ারহেড তৈরি করছে ইরান। আর ওয়ারহেড বহনকারী তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ইরানের আছে, যা ইউরোপে পৌঁছাতে পারে। দেশটির নির্বাসিত একটি বিরোধী দল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এমনটাই দাবি করেছে।
ইরানের জাতীয় প্রতিরোধ পরিষদ (এনসিআরআই) বলছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শাহরুদ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি পাল্লার 'কঠিন জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রের' জন্য পরমাণু ওয়ারহেড তৈরি করছে ইরান। দেশের অভ্যন্তরে দলের সদস্যদের নেটওয়ার্ক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে, যার প্রমাণও আছে।
পরমাণু অস্ত্র তৎপরতা সুসংহত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজেশন ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স রিসার্চ (এসপিএনডি) ইরানের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে বলেও দাবি দলটির।
তবে তেহরান পরমাণু অস্ত্র অর্জনের কথা অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি গত বছর এক মূল্যায়নে দাবি করেছিল, ইরান এখনো বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইসরায়েল বলেছে, তারা বিশ্বাস করে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়।
গত অক্টোবরে শাহরুদের মহাকাশ কেন্দ্রসহ ইরানের একাধিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা এপি স্যাটেলাইট ছবি পর্যালোচনা করে জানিয়েছিল, শাহরুদ মহাকাশ কেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইআরজিসি'র মহাকাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণকারী শাহরুদ স্থাপনায় ক্ষতির কথা অস্বীকার করেন।
গত সেপ্টেম্বরে ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির (আইএসআইএস) এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ইরান সানজারিয়ান ও গোলাব দারেহ নামের দুটি পরমাণু স্থাপনায় তৎপরতা বাড়িয়েছে।
এদিকে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরান নাতাঞ্জ ও ফোরদোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলো রক্ষায় মহড়াসহ বেশ কয়েকটি সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন