৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
আমেরিকায় নীরব যুদ্ব চলছে
বছরে ৩৩ হাজার বন্ধুকের গুলিতে মৃত্যু
গত ১২ জুন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার ওরলান্ডোয় গে ক্লাবে টেরর এ্যাটাকে ৫০ জন মারা যাওয়ায় পুরো আমেরিকায় নাগরিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে । ওমর মতিন ( ৩০ ) যে এসল্ট মেশিন গান দিয়ে এলোপাথারি গুলি করে এবং যে ভাবে মানুষ মেরেছে তার ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠতে অনেক দিন লাগবে ।
গত এক বছরে পুরো আমেরিকায় বন্দুকের গুলিতে ৩৩ হাজার নাগরিক মারা যান । অপর এক হিসাবে দেখা যায় পুরো আমেরিকায় বৈধ অগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ৩০ কোটি যা আমেরিকার ৩৭ কোটি জনসংখ্যার প্রায় সমান । অর্থাৎ প্রতি একজনে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। ওরলান্ডো নাইট ক্লাবে এট্যাক হবার পর আবার আমেরেরিকার আগ্নেয়াস্ত্র নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমেরিকায় অস্ত্র সবচেয়ে সহজলভ্য । ওমর মতিন (৩০ ) নামের আততায়ী সিকিউরিটি কম্পোনীতে কাজ করতেন ,তার ফায়ার আরমস এর বৈধ লাইসেন্স ছিল।ওমর মতিন সে বৈধ লা্ইসেন্স দিয়ে ঘটনার এক সপ্তাহ আগে একটি এ্সল্ট অত্যধুনিক গান ও হ্যান্ড গান কিনেছিল যা দিয়ে নাইট ক্লাবে মাস শুটিং করে ৫০ জনকে হত্যা করে এবং ৫৩ জনকে আহত করে ।
যুক্তরাষ্ট্রের সব পন শপ ( পুরোরো জিনিস বিক্রিয় করে ) দোকানে নতুন ও পুরোনো অস্ত্র সহজে কিনতে পাওয়া যায় । তাছাড়া অস্ত্র বিক্রীর দোকান গুলোতে খুব সহজে আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে পাওয়া যায় । গত এক বছরে পুরো আমেরিকা জুড়ে বন্দুকের গুলিতে ৩৩ হাজার নাগরিক মারা যায় , আহত হন লক্ষাধিক ।
গত এক দশকে আগ্নেয়াস্ত্র এর মাধ্যমে মারা যায় মিলিয়ন এর উপর সাধারন নাগরিক ।যা কোন যুদ্বেও এত মানুষ মারা যায় না।এক ভয়াবহ নীরব ঘাতক রুপে লাভ করেছে । ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার অজুহাতে সারা আমেরিকায় অস্ত্র সহজ লভ্য করা হয়েছিল যার খেসারত দিতে হচেছ আমেরিকার নাগরিকদের ।
ওরলান্ডোয় বছরে ,ঢাক ঢোল বাজিয়ে বৃহত আকারে সপ্তাহ ব্যাপি গান শো র আয়োজন করা হয় । গান শোকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলে । আমেরিকায় গান ( অস্ত্র ) অনেকের কাছে অত্যাবশকীয় হিসাবে পরিগনিত । অস্ত্র নীতি বার বার বলার পরও কোন পরিবর্তন করা হয় না । গত বছর ওরলান্ডোয় বাংলাদেশী নাগরিকা শহিদুল আহমদ তার কনভিনিয়েন্স দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলেন , যখন তিনি তার বাসার ড্রা্ইভ ও্য়েতে তার গাড়ী থেকে নামছিলেন তখন পিছন থেকে তাকে গুলি করে আততায়ীরা চলে যায় ।
আজ পযর্ন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি । ফ্লোরিডার বাংলাদেশীদের বেশীর ভাগ কনভিনিয়েন্স ও গ্যাস ষ্টেশন এর জড়িত , প্রায়ই কনভিনিয়েন্স ষ্টোর ও গ্যাস ষ্টেশনে আততায়ীরা এসে গুলি গুলি করে । গত ৩ বছরে ১০ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন, আহত হযেছেন ৪০ জন । অনেকে আত্বরক্ষায় সব সময় সব সময় অস্ত্র বহন করেন ।
আমেরিকার ফ্লোরিডায় জি লা্ইসেন্স যা দিয়ে অনায়াসে অস্ত্র কেনা যায় বা অস্ত্র বহন করা যায় তার নীতিমালা পরিবতনের সময় এসেছে । ও্মর মতিন ( ৩০ ) আমেরিকায় জন্ম নেয়া আফগান নাইট ক্লাবে হামলা করায় আমেরিকায় জন্ম নেয়া প্রবাসী মুসলিম দ্বিতীয় প্রজন্ম এর ভবিষ্যত অনেকটা শংকায় ।
যদি রিপাবলিকান ডোলান্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসে তাহলে আমেরিকার ইমিগ্রান্ট ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নানা হয়রানি বেড়ে যাবে । কোটি কোটি মুসলিম সম্প্রদায় গভীর শংকায় পাশাপাশি যদি অস্ত্র নিয়ন্ত্রনে নতুন নীতিমালা না আসে তাহলে ডেমষ্টিক ভায়োলেন্স মারাত্বক বেড়ে যাবে । বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও আভ্যন্তরীন অস্ত্র সহজলভ্যতায় ৩৩ হাজার থেকে বন্দুকের ব্যবহারে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারে চলে যাবে । যা একটা আফগান বা ইরাক যুদ্বের চেয়ে ভয়াবহ ।
শেয়ার করুন